ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভারতে নাগরিকত্ব আইন: বেড়েই চলেছে বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১১ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১০:১২ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেড়েই চলেছে ভারতে। বিক্ষোভে অশান্ত দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য।

দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার পর এবার বিক্ষোভ ছড়িয়েছে পূর্ব ও পুরনো দিল্লিতে। রাস্তায় নামে ২ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী। সিলামপুরে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

এদিকে, চলমান এ প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যেই সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে তাদের দেখামাত্র গুলি করার হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় রেল উপমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি।

এছাড়া, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যও নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, ভোটার কার্ড থাকা মানেই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। এনআরসিতে নাম থাকলেই ভারতের নাগরিক হবে উল্লেখ করে দ্রুত এনআরসি তৈরির কথা জানান তিনি।

অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোটে প্রায় ৬০টি পিটিশনের শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।  নতুন নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ধর্মের ভিত্তিকে কখনোই নাগরিকত্ব প্রদান করা যায় না। তারা আরও বলেন যে, নতুন আইনটির মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অবৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করে। গত বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়।

একে//