ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

২১ বছরেও চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে হত্যার বিচার হয়নি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

আজ ১৮ ডিসেম্বর। ১৯৯৮ সালের আজকের এই দিনে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে।

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এ নায়ক নিহত হয়েছেন ২১ বছর অতিক্রম হয়। অথচ সে ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার বিচার আজও শেষ হয়নি। গত ১৬ বছর ধরে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে বিচার কাজই বন্ধ রয়েছে বিচারিক আদালতে।

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলাটি চলছিল ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ শামছুল হক বাদল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিম্ন আদালত অগ্রসর হতে পারছেন না। এজন্য মামলাটির বিচারকাজ আজও বন্ধ রয়েছে।’

সোহেল চৌধুরী ১৯৬৩ সালে ঢাকার বনানীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আশি ও নব্বই দশকের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। ক্যারিয়ারে তিনি খুব বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে না পারলেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যেই।

সোহেল চৌধুরী প্রাথমিক জীবন থেকেই অভিজাত ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। ১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী তার সহ-অভিনেত্রি দিতিকে বিবাহ করেন। অভিনেত্রী দিতির সঙ্গে সাংসারিক জীবনে তাদের দুইটি সন্তান আছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় দিতি-সোহেল দম্পতির প্রথম সন্তান লামিয়া চৌধুরীর। ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ওই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সোহেল চৌধুরী। জড়িয়ে পড়েন নেশার জগতে। একপর্যায়ে নেশা ও জুয়ায় ডুবে থাকতেন তিনি। সেই অন্ধকার জগতের অপরাধীদের সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের রেশ ধরেই অবসান ঘটে তার জীবনের।

ঘটনার পর সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন সোহেল চৌধুরী। সেই বছরেই নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত ‘পর্বত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ১৯৮৬ সালে। তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে যে কজন সুদর্শন অভিনেতা রয়েছেন সোহেল চৌধুরীর তাদের মধ্যে একজন।

এসএ/