ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ক্ষতি করে প্রসূতি ও শিশুর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

গর্ভাবস্থায় অনেক সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এর নাম জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস৷ মূলত প্রেগন্যান্সি হরমোনের দৌলতেই হয় এ রকম। অনিয়ম করলে এর আশঙ্কা আরও বাড়ে। তখন প্রসূতি মা ও শিশু উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গর্ভাবস্থায় জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস হয়ে থাকলে ভয় থাকে। তাই ভাবী মায়ের ওজন বেশি থাকলেও সতর্ক হতে হবে। হবু মায়ের হাইপ্রেশার থাকলে, অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বেড়ে গেলে এই রোগ ধেয়ে আসতে পারে। আবার হবু মায়ের বয়স ৩৫–এর বেশি হলে সাবধান হতে হবে। এক বার এই রোগ হওয়া মানে কিন্তু ভাবী মা ও সন্তানের সমূহ বিপদ। কাজেই সতর্ক থাকা দরকার।

সুগার বেড়ে গেলে যেসব বিপদ বাড়ে-

* হাইপ্রেশার ও প্রি–একলাম্পশিয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

* চোখ–কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

* ইউরিন–ভ্যাজাইনাতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।

* প্ল্যাসেন্টা বড় হতে থাকে, বাড়ে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড।

* বাচ্চা যে থলির মধ্যে থাকে তা ছিঁড়ে সময়ের আগে প্রসবের আশঙ্কা বাড়ে।

* প্ল্যাসেন্টা ছিঁড়ে গেলে শুরু হয় প্রবল রক্তপাত, বাচ্চার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এতে

* সিজারের সময় রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে৷ সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।

* নবজাতকের রক্তে সুগার কমে যেতে পারে৷ বাড়াবাড়ি রকমের জন্ডিস বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। 

রোগের লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগের উপসর্গের মধ্যে আবছায়া দেখা, ক্লান্তি, ইউরিন ও ত্বকের সংক্রমণ, পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায়, বার বার প্রস্রাব পাওয়া, গা–বমি, খিদে বাড়া সত্ত্বেও ওজন কমতে থাকা ইত্যাদি লক্ষণ কখনও সখনও থাকে৷

হবু মায়ের বা তাঁর পরিবারে কারও ডায়াবেটিস থাকলে গর্ভাবস্থার ১২–১৫ সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত। এর পর চিকিৎসকের পরামর্শ ও খাবারদাবারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এই রোগ। নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব করা যায়...

* তেল–ঘি–মাখন–চর্বি একদম কমিয়ে দিন৷ প্রোটিনও আগের চেয়ে কম খান৷

* শাক–সব্জি–ফল খান পর্যাপ্ত৷ সঙ্গে মাপমতো ব্রাউন ব্রেড, আটার রুটি, ভাত রাখুন।

* চিনি, গুড়, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, আইসক্রিম, সরবৎ, ফলের রস, কেক, পেস্ট্রি খাবেন না৷

* কোন খাবার কতটা খাবেন তা বুঝতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন৷

* লো ক্যালোরির সুষম খাবার ও হালকা ব্যায়ামে নিয়ন্ত্রণে রাখুন এই রোগ৷

এএইচ/