জেঁকে বসেছে শীত: শীতবস্ত্র কেনাবেচার ধুম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের বেচাবিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে-ফাইল ছবি
পৌষের শীতে জেঁকে বসেছে সারাদেশে। এ শীত একেবারেই সাধারণ শীত নয়, চলছে শৈত্যপ্রবাহ। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা নাই। বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানীতেও বইছে শৈত্যপ্রবাহ, কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। বিপর্যয় নেমে এসেছে জন জীবনে।
তীব্র শীতের কারণে পাতলা পোশাকের পরিবর্তে সবাই গরম কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন। সারাদেশের মতো রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিং মলগুলোতে শীতবস্ত্রের বেচাকেনাও জমে উঠেছে। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের বেচাবিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর তুলনায় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে চার থেকে সাত ডিগ্রি পর্যন্ত। এই তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার পর্যন্ত এই বৈরী আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে শপিং মলে সোয়েটার, কম্বল, লং জ্যাকেট, শর্ট জ্যাকেট, ব্লেজারসহ গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। দামও ক্রেতার নাগালের মধ্যে। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মল ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের কাপড় কিনতে বিপনীবিতানে দলে দলে বিভিন্ন আয়ের মানুষের ভিড়। ব্যবসায়ীরাও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও বাহারি ডিজাইনের শীত পোশাক এনে পূর্ণ করছেন তাদের বিপনীবিতানগুলো।
বাহারি ডিজাইনের সোয়েটার ও ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে। দাম ২ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া এক্সক্লুসিভ সোয়েটার ও ব্লেজার সাড়ে ৫ হাজার থেকে শুরু হয়েছে। ছেলে ও মেয়েদের জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। শীতের শাল ১ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার টাকা, ট্রাউজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, কানটুপি ২৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাচ্চাদের কাপড়ের জুতা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা, চীন-থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা মাফলার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর ফুটপাতেও গরম কাপড় কেনার ধুম লেগেছে- ফাইল ছবি
এদিকে ইতোমধ্যে রাজধানীর গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, ফার্মগেট, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, ফার্মগেটের ফুটপাতে হকাররা স্লোগান দিয়ে বিক্রি করছেন গরম কাপড়। এখানেও সোয়েটার, ব্লেজার, টুপি, কাপড়ের জুতা, কেটস, জ্যাকেট, ট্রাউজার, প্যান্ট, হাত ও পা-মোজা, মাফলার, চাদর ও কম্বলসহ নানা ধরনের গরম পোশাক সেখানে চোখে পড়বে। ক্রেতার সংখ্যাও বেশি।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাতে চায়নার বিভিন্ন ধরনের শাল ও চাদরের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শীতের শাল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, সোয়েটার একশ’ থেকে ৩০০ টাকা, কাপড়ের জুতা ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, জ্যাকেট ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্রাউজার ১৩০ থেকে ৩০০ টাকা, গরম কাপড়ের তৈরি প্যান্ট ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পায়জামা ৮০-২৫০ টাকা, হাইগলা গেঞ্জির দাম ১২০ থেকে ৩০০ টাকা, টুপিওয়ালা গেঞ্জির দাম ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও মাফলার পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।
এছাড়া হাতমোজা জোড়াপ্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কানটুপি ছোটদের জন্য ৪০ টাকা এবং বড়দের জন্য ৬০ থেকে একশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে রাজধানীর জিপিও মোড় থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত ফুটপাতের দীর্ঘ সারিতে নানা রঙের ব্লেজারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। দামও অনেক কম।
এমএস/এনএস