‘পাকিস্তানে টেস্ট নয়’ কঠোর অবস্থানে বিসিবি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার
বাংলাদেশ টেস্ট দল
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে যাবার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। যে সফরে রয়েছে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সূচী। কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট নয়, শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চায় বাংলাদেশ। আর এ সিদ্ধান্তেই অটল বিসিবি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) ইতোমধ্যে সে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছে বিসিবি। তবে কি কারণে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে চায় না- বিসিবির কাছে সেই ব্যাখা চেয়েছে পিসিবি। বিসিবি অবশ্য সেই ব্যখ্যাও পিসিবিকে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, 'আমাদের সঙ্গে পাকিস্তান বোর্ডের যোগাযোগ হচ্ছে। অবশ্যই তারা চাইবে পুরো সিরিজটা খেলার জন্য। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি এবং কেন চাচ্ছি না সে বিষয়গুলোও বলেছি। পিসিবি তাদের দিক থেকে বিবেচনা করছে, আমরাও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি।'
মূলত নিরাপত্তাজনিত কারণেই দেশটিতে দীর্ঘ সময় ও বেশি ভেন্যুতে খেলতে চায় না বাংলাদেশ। প্রধান নির্বাহী বলেন, 'নিরাপত্তাজনিত কারণেই পিসিবির প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে- একটা ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন করা হোক। সার্বিক দিক বিবেচনা করে তারা পূনর্বিবেচনা করবে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টাকে মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা ও অন্যান্য যে বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হলো- একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকতে হবে এবং কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে চলাফেরায়। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করেই আমরা এই ধরণের চিন্তা ভাবনা করছি।'
পাকিস্তানের মাটিতে না হলেও, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলার ইচ্ছা জানিয়ে সুজন বলেন, 'ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে, বিসিবি পিসিবিকে জানিয়েছে যে, আমরা কেবলমাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চাচ্ছি এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ অন্য কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার আয়োজন করা যেতে পারে। এর মধ্যে বিভিন্ন কথা এসেছে বিভিন্ন সময়ে। তাহলো- সংক্ষিপ্ত ভার্সনে যেতে পারলে লঙ্গার ভার্সনে কেন নয়। আসলে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বুঝতে পারবেন যে, একটা সংক্ষিপ্ত সময় সেখানে থাকা আর দীর্ঘ সময়ে সেখানে থাকার মধ্যে কিছুটা হলেও পার্থক্য আছে।'
বিসিবির সিইও আরও বলেন, 'আপনারা জানেন, সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে পাকিস্তান সফর করেছে এবং তাদের একটা রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এছাড়া, পাকিস্তানের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছে এবং নিরাপত্তার বিষয়টিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে ম্যাচ পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় আইসিসি। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো আইসিসির সঙ্গেও যোগাযোগ করব এবং তাদের একটা স্বাধীন মতামত নেয়ার চেষ্টা করব।'
সুতরাং আসন্ন পাকিস্তান সফরটা যে জটিল আকার ধারণ করছে তা বলার অপেক্ষা রাখছে না। এখন দেখার অপেক্ষা যে, এই দুই বোর্ড কিভাবে এ সমস্যার সমাধান আনেন এবং নিরাপত্তার সাথেই সুষ্ঠুভাবে সিরিজটি সম্পন্ন হয়।
এনএস/