ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: সিইসি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৮:০২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

সংবাদ সম্মেলনে চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সিইসি
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সিইসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিইসি বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন। এই নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে।’
এর আগে এ দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে না। পুলিশ, বিজিবি থাকবে। তবে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুই জন করে সেনা সদস্য থাকবেন।’
বর্তমান মেয়রদের প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘বর্তমান মেয়ররা নির্বাচন করতে চাইলে তাদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর সিটি করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নির্ধারণ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।’
নতুন হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা আদালতে গেলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে কোন ব্যক্তি কখন নির্বাচন হলো, সেটা নিয়ে কিছু বলা নেই আইনে। নির্বাচনের মেয়াদের কথা আইনে বলা আছে। তাই আইনি জটিলতা হবে না। নতুন ভোটার হবে ৩১ জানুয়ারির পর। তাই নতুন ভোটাররাও কোনও আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনও দিন একটি দলকে জেতানোর জন্য কাজ করে না। এই নির্বাচন সব দলের জন্য উন্মুক্ত। প্রতিযোগিতামূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’
দলের সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেছে। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী এটি আইনসিদ্ধ হয়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী, দলগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণ করতে হবে। দল কীভাবে কী করছে, সেটা তাদের ব্যাপার। কোনও দল যদি শর্ত পূরণ করতে না পারে, তখন আমরা বিবেচনা করবো। এ ব্যাপারে অগ্রিম কিছু বলা যাবে না।’
এনএস/