ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

কোনও মুসলমানকে তাড়াতে এই আইন নয়: মোদি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:০৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে পুরো দেশজুড়ে চলছে আন্দোলন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ভাষণে বলেন, সারাদেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী এনআরসি হচ্ছে না। আর কোনও মুসলমানকে তাড়াতেও এই আইন নয়।

বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে রবিবার মোদি এই মন্তব্য করেন।

এদিকে কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপন্থী, শুধুমাত্র একাধিক মঞ্চেই নয়, সংসদেও দেশজুড়ে এনআরসি করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

রবিবার দিল্লির রামলীলার ময়দানের সভায়, কংগ্রেস ও ‘আরবান নকশালদের’ বিরুদ্ধে এনআরসি নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

এদিন ৯৭ মিনিটের ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারতের ১৩০ কোটি মানুষকে আমি বলতে চাই, ২০১৪-এ আমার সরকার ক্ষমতার আসার পর থেকে, কোথাও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে কথা হয়নি। শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, শুধুমাত্র আসামে তা করা হয়েছে’, সভায় বেশিরভাগ সময়ই প্রধানমন্ত্রী মোদি এনআরসি এবং নয়া নাগরিকত্ব আইন ও দেশজুড়ে প্রতিবাদ নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। অনেক নেতা টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, দেশজুড়ে এনআরসি করা হবে, তবে আমি বলতে চাই, কেন আপনারা সেই সমস্ত কথা শুনে নিজেদের মানসিক শক্তি ক্ষয় করছেন, যেগুলি হবে না’।

দেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করতে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা হয়েছে, সেখানে চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। তাদের অনেকেই আসামের ডিটেনশন শিবিরে রয়েছেন।

তিনি বলেন, সিএএ ভারতের কোনও নাগরিক, তা তিনি হিন্দু হোক বা মুসলমান, তাঁদের জন্য নয়। এতে দেশের ১৩০ কোটির কোনও নাগরিকের উপর প্রভাব পড়বে না। এই আইন সেই শরণার্থীদের জন্য যাঁরা বহু বছর এ দেশে রয়েছেন। সিএএ কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়। কিছু মানুষ সিএএ-কে গরিবের বিরুদ্ধে তৈরি করা আইন বলছেন।

তিনি বলেন, দেশের কোনও মুসলমানকে ডিটেনশন শিবিরে পাঠানো হচ্ছে না।

বিরোধীদের অভিযোগ, যে পদ্ধতিতে নয়া নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছে, এতে মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছে।

অমিত শাহ বলেন, ‘নাগরিকত্ব বিল আসবে, সমস্ত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা হবে। শরণার্থীদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। অনুপ্রবেশকারীদের চিন্তার ব্যাপার। ব্যাপারাটা বুঝুন..প্রথমে নাগরিকত্ব বিল, তারপর এনআরসি, শুধুমাত্র পশ্চিমবাংলার জন্যই নয়, সমস্ত দেশের জন্য এনআরসি’।

প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজের মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিপরীত মন্তব্যের অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিভিন্ন মঞ্চে অমিত শাহের মন্তব্য তুলে ধরে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, “দুই কক্ষেই একথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবার এটা জনসমক্ষে”। সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার

এসি