ফের মনোনয়ন চান ঢাকার দুই নগর পিতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
মেয়র আতিকুল ইসলাম ও সাঈদ খোকন- ফাইল ছবি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইনানুযায়ী পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা। আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন কথা জানান তারা।
এর আগে গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল ঘোষণার সময় সিইসি জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই সিটিতেই সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। আর দুই সিটির বর্তমান মেয়ররা এই নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাদের নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে সিইসির বক্তব্যের বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য না করে এ দুই নগর পিতা গণমাধ্যমকে জানান, আইন অনুযায়ী যেটি করতে হয় বা আইন যা বলবে তারা সে অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেবেন। যেহেতু আইনে বলা আছে দায়িত্বে থেকেই নির্বাচন করা যাবে। সেহেতু তারা ঐ আইনের মধ্যে থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘পাঁচ বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। সবসময় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। সিটিতে উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের সামর্থ্য আছে। দল থেকে আবারও মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা আছে।’ নয় মাস তেমন একটা দীর্ষ নয়। এ সময় যতটুকু পেরেছেন কাজ করছেন বলে জানান উত্তর সিটি মেয়র আতিকুর ইসলাম।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এই সংবর্ধনা ও পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দুই হাজার ৮০০ মুক্তিযুদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এমএস/আরকে