মেহেদী-তাণ্ডবে তটস্থ কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্স
নাজমুশ শাহাদাৎ
প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৫:৩৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
ফিফটির পর মেহেদী হাসানকে তামিমের অভনন্দন
ঢাকার অলরাউণ্ডার মেহেদী হাসানের ব্যাটিং তাণ্ডবে রীতিমত তটস্থ কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্স। দলটির দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও মেহেদীর ঝড়ো ফিফটিতে জয় পানেই ছুটছে ঢাকা প্লাটুন।
এ প্রতিনবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভারে ঢাকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০০ রান। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা তামিম ইকবাল ২৪ রানে এবং মোমিনুল হক ৮ রানে ক্রিজে আছেন।
আউট হওয়ার আগে মেহেদী হাসান করেন ক্যারিয়ার সেরা ৫৯ রানের ইনিংস। এর আগেই অবশ্য মাত্র ২৩ বলে প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। দলীয় ১ রানেই এনামুল হক বিজয় (০) ফিরলে ক্রিজে আসেন এই তরুণ। খেলেন তাণ্ডব ছড়ানো এক ইনিংস। তার ২৯ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি ছক্কার সাথে দুটি চারের মার।
কিন্তু এরপরই যেন মড়ক লাগে ঢাকার ইনিংসে। কুমিল্লার স্পিনার মুজিবুর রহমানের পরপর দুই বলে আউট হয়ে ফেরেন আসিফ আলী (০) ও জাকের আলী (০)। ফলে ৮১/১ থেকে চোখের পলকে ৮৮/৪ হয়ে যায় দলটির স্কোর। যা অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে চেয়ে চেয়েই দেখলেন তামিম।
এর আগে কু্মিল্লার পক্ষে ব্যাটে ঝড় তোলেন ভানুকা রাজাপাকসে। কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্সের ১৯তম ওভার শেষে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ভানুকা। মনে হচ্ছিল, বঙ্গবন্ধু বিপিএলের হয়তো দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা দেখা যাচ্ছে আজ।
কিন্তু ইনিংস শেষেও ৯৬ রানে অপরাজিত থাকলেন লঙ্কান ক্রিকেটার! শেষ ওভারে দুই বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাট থেকে একটি রানও তুলতে পারেননি। রাজাপাকসের সেঞ্চুরি মিসের দিনে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ১৬০ রানের স্কোর গড়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্স।
কুমিল্লার পুরো ইনিংসটাই রাজাপাকসে কেন্দ্রিক। শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ফর্মে থাকা ওপেনার সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বসে কুমিল্লা। সাব্বির রহমান (০), ডেভিড মালানও (৯) বেশিদুর এগুতে পারেননি। তবে রাজাপাকসে অবিচলই ছিলেন। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন ইয়াছির আলি।
চতুর্থ উইকেটে দুজন তুলেছেন ১০৩ রান। এর মধ্যে রাজাপাকসের একারই ৬৮। ইয়াছির ২৭ বল খেলে ২টি চারে শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রাজাপাকসের দিনে ঢাকার সফল বোলার মেহেদি হাসান। ৪ ওভার বোলিং করে ৯ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন তরুণ মেহেদি। একটি উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান।
এনএস/