সন্দ্বীপে সৌরভ হত্যার রহস্য উন্মোচন,গ্রেফতার ৭
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৮:৩৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
অবশেষে সন্দ্বীপের বহুল আলোচিত সৌরভ হত্যাকান্ডের এক মাস পর তার মৃত্যু রহস্য উম্মোচন করেছে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ। পরকীয়া ও জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কামরুল হাসান সৌরভকে ৫ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে আজ (সোমবার) সন্দ্বীপ থানায় প্রেস ব্রিফিং-এ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
ক্লু-লেস এ মামলার ভিকটিম সৌরভের হত্যা রহস্য উন্মোচনে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান।
গ্রেফতারকৃত ৭ জন হলো ১. জান্নাতুল ফেরদৌস ২. রহিমা বেগম ৩. বিবি সালমা ৪.ওমর ফারুক সুমন ৫. আকলিমা আক্তার ফারজানা ৬. মো. রাব্বী ও ৭. মো. রুবেল আহাম্মদ শাহীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে মগধরার মো. আক্কাছের ছেলে রাব্বী হাসান (২০) হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং ৫ জন মিলে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতেও সে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
সংবাদ ব্রিফিং এ সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম.এ হালিম জানান, ‘‘ঘটনার রাতে মগধরা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলী হাজির বাড়ীর পরকীয়া প্রেমিকা রহিমার বাড়ী থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে সৌরভকে হত্যাকারীরা জোরপূর্বক নিকটস্থ এক বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে কেউ তার অন্ডকোষ চেপে, কেউ গলা পেছিয়ে, কেউ হাত পা চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং পরে মোটরসাইকেল দিয়ে নিহতের লাশ একটি পুকুরপাড়ে গাছের সাথে বেঁধে ফেলে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে হারামিয়ার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোছাদ্দেকুল মাওলার পুত্র কামরুল হাসান সৌরভ (২০) নিখোঁজ হন। পরদিন দুপুরে নিকটস্থ মগধরা ১নং ওয়ার্ডের একটি পুকুর পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কেআই/এসি