ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ভিপি নুরের ওপর হামলা: আরও একজন গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর এবং তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আরও এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তাকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রইচ উদ্দিন।

তিনি বলেন, নুরের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির নাম মেহেদী হাসান শান্ত। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের দফতর সম্পাদক।

এরআগে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে আটক করা হয়। এ নিয়ে দুই দিনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে আটক করা হলো।

দুপুরে তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান উপপরিদর্শক রইচ উদ্দিন।

এদিকে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রইচ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আটজনের নামসহ ৩০/৩৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা মামলা করতে না আসায় আমরা মামলা দায়ের করেছি।’

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এএসএম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এএফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, মাহবুব হাসান নিলয়।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনে এ হামলার ঘটনায় নুরসহ তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মশিউর রহমানসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন।

হামলায় গুরুতর আহত ভিপি নুরুল হক ও তার অনুসারীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের মধ্যে তুহিন ফারাবি আইসিইউতে, ভিপি নুরুল হক নুর ৩৫ নম্বর কেবিনে আর সোহেল, ফারুক ও আমিনুর ৩৬ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন।

এই পাঁচজনের চিকিৎসার বিষয়ে নয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, নিউরো সার্জারির অধ্যাপক ডা. রাজিউল হককে প্রধান করে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বোর্ড মিটিং করে পাঁচজনের চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে।