ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

সঞ্জিত ও সাদ্দামসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে নুরের মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

নিজের ও সহযোগীদের ওপর হওয়া হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর৷

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন৷

ওসি আবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ঘটনায় এরই মধ্যে মামলা হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িত কেউই আইনের বাইরে থাকবে না।

তিনি বলেন, একই ঘটনায় পৃথক মামলার সুযোগ না থাকায় নুরের দায়ের করা অভিযোগ আগের মামলার সঙ্গে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

নুরের পক্ষে দায়ের করা মামলায় দাবি করা হয়, গত ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে তিনিসহ সংগঠনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার কক্ষে অবস্থান করেন। হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ তার কক্ষে প্রবেশ করে অতর্কিতে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে চলে যায়। তারা পুনরায় যেন হামলা করতে না পারে, তাই ডাকসু কর্মচারীদের সহায়তায় ডাকসুর মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডাকসুর মূল ফটকের তালা খুলে কক্ষে ঢুকে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। কক্ষের বাতি নিভিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনিসহ তার ৩০ সহকর্মী আহত হয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি আল সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তূর্য, সূর্য সেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জাহান খান, ঢাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ অনিন, এএফ রহমান হল সংসদের ভিপি আবদুল আলীম খান, জিএস আবদুর রহিম খান, সাহিত্য সম্পাদক অনজিল ইসলাম তালাশ, বিজয় একাত্তর হলের এজিএস আবু ইউনুস, ডাকসু সদস্য রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য, মাহমুদুর হাসান, ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ঢাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নিয়ামত উল্লাহ তপন, জিয়া হল সংসদের জিএস হাসিবুল হাসান শান্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক সিফাতুজ্জামান খান, মুহসীন হল সংসদের জিএস মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আলম, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাবু, জিয়া হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বিন সাত্তার, ইবনুল হাসান উজ্জ্বল, উপ-স্কুলবিষয়ক সম্পাদক খাজা আয়ের সুজন, এসএম হল ছাত্রলীগের খান মিলন হোসেন নীরব, কবি জসীম উদ্‌দীন হলের ইমরান আহমেদ, ঢাবি ছাত্রলীগের গণশিক্ষা সম্পাদক হৃদয় হাসান সোহাগ, চারুকলা ছাত্রলীগের উজ্জ্বল ও আরিফুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা রিপা, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আইনুল ইসলাম মাহবুব, মেহেদী হাসান নিবিড়, বঙ্গবন্ধু হল সংসদের জিএস মেহেদী হাসান শান্ত এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি জীবন রায়। এতে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।