২৫ ডিসেম্বর কেন বড়দিন হিসেবে পালিত হয়?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১০:৫৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট ২৫শে ডিসেম্বরের এই দিনে বেথলেহেম নগরীতে অলৌকিকভাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর অনুসারী খ্রিস্টান সম্প্রদায় যিশু খ্রিস্টের জন্মের দিনকে স্মরণে রাখতে প্রধান ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস পালন করে আসছে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস যিশু খ্রিস্ট মানুষের রূপ ধরে পৃথিবীতে এসেছিলেন সব পাপ থেকে মুক্তি দিতে আর মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। তার এই আগমনকে স্মরণীয় রাখতে খ্রিস্টানরা শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশ্বব্যাপী এই দিনটিকে যুগ যুগ ধরে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করে আসছেন।
তবে আমাদের দেশে এই দিনটি বড়দিন হিসেবে পালিত হয়। এর কারণ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেছেন, ‘মর্যাদার দিক থেকে এটি বড়। যিশু যেহেতু বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্ম ও দর্শন দিয়ে গেছেন, বিশ্বব্যাপী বিশাল অংশের মানুষ তার দেয়া ধর্ম ও দর্শনের অনুসারী। যিনি এতো বড় ধর্ম ও দর্শন দিলেন ২৫শে ডিসেম্বর তার জন্মদিন। সে কারণেই এটিকে বড়দিন হিসেবে বিবেচনা করে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, আঠার ও উনিশ শতকে ইউরোপীয়রা এসে এ অঞ্চলে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার করে। যারা ধর্মটি গ্রহণ করেছেন তাদের কাছে এটি আরও মহিমান্বিত বিষয়। বাঙালি যারা খ্রিস্টান ধর্মে রুপান্তরিত হয়েছেন, তারা ভাবেন যিশু তাকে ধর্ম দিয়েছেন। তাই তারা যিশুর জন্মদিনটা সব আবেগ দিয়ে পালন করেন। এ কারণেই দিনটি তাদের কাছে বড়দিন হিসেবে বিবেচিত।
ড. ঘোষের মতে বাঙালি সমাজে আঠার শতকের শেষের দিকে বড়দিন পালনের চর্চা শুরু হয়েছিল এবং একই সময়ে এই অঞ্চলের মানুষ ইউরোপীয়দের অনুকরণে জন্মদিন পালনও শুরু করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বড়দিনের একটি বিশেষ অঙ্গ ক্রিসমাস ট্রি সাজানো। মোমবাতি, পাখি, ফুল, ফল, স্বর্গদূত আর রঙবেরঙের কাগজ ও বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে থাকে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।
ক্রিসমাস ট্রিতে আলোর ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন অর্নামেন্ট দিয়ে সাজানো হয়। এই গাছের ওপরে একটি তারা বা স্বর্গদূত বসানো হয়। এই স্বর্গদূতটি বেথেলহেমে জন্ম নেয়া যিশুখ্রিস্টের প্রতীক।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এএইচ/