ফারাবি ফের আইসিইউতে, সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবে প্রক্টরকে দায়ী
ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৮:০৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার
অবস্থার অবনতি হওয়ায় তুহিন ফারাবিকে আবারও নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। অপারেশনের পর আশঙ্কাজনক অবস্থার কারণে সুহেলকেও আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার অনুসারীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাবি প্রক্টর ড. গোলাম রাব্বানীর মদতে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের অবস্থা জানাতে গিয়ে রাশেদ বলেন, আমাদের দুইজনকে আবারও আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভর্তিদের অনেকে রক্তবমি করছে এবং অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
চাটার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ফারাবীর অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ফারাবীকে গতকাল কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ডাকসু ভিপির ওপর হামলার সময় ফারাবীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
মাথায় রক্ত জমাট থাকায় অপারেশন হয়েছে সুহেলের। কিন্তু আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় সেও এখন আইসিইউতে। মাঝে মধ্যে জ্ঞান আসলেও আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে বলে জানান রাশেদ।
এছাড়া নুর বমি করছে। শরীরের বাম পাশে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। আরিফুল ইসলামও বমি করছে ও নাজমুল ইসলামের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ফারুক হাসানের কানে আঘাত করা হয়েছে। কানে শুনতে পাচ্ছে না এখনও। নুরের ছোট ভাই আমিনুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে মাঝে মধ্যে। রক্ত বমি করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান রাশেদ। সবার অবস্থার অবনতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা রাশেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বাহাউদ্দিন নাছিম হাসপাতালে এসে বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করা হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন জনকেই কেবল গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মূল আসামি সনজিত ও সাদ্দামকে এখনো আটক করা হয়নি। অথচ আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে, তাতে হামলায় সনজিত ও সাদ্দামের অংশগ্রহণ আছে। আমরা সেটি প্রকাশ করেছি। কিন্তু সনজিত-সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তথ্যপ্রমাণ থাকলেও তাদের ধরা হচ্ছে না।
আরকে//