বঙ্গবন্ধুর আশির্বাদপুষ্ট অসুস্থ মমতাজের পাশে একুশে ফোরাম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার
সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মোছাঃ মমতাজ বেগম (৬৮) গুরুতর অসুস্থ। অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় তিনি আজ মৃত্যু পথযাত্রী। একুশে টেলিভিশনের সামাজিক সেবা সংগঠন একুশে ফোরামের উদ্যোগে তাঁর চিকিৎসার জন্য বুধবার রাতে ৮ হাজার টাকা তার সন্তান দিন মজুর সাইদুল ইসলাম ও থানা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাফিজের হাতে তুলে দেন।
এসময় একুশে ফোরামের সভাপতি আখতারুজ্জামান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ডনু, সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম ফজলু, সংগঠনের সদস্য আলতাফ হোসেন শেখ, বাবু মির্জা, মেহেদী হাসান ও ইটিভির প্রতিনিধি স্বপন মির্জা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মমতাজ বেগমের বড় ছেলে সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার মায়ের যথাযথ চিকিৎসা করানোর স্বামর্থ আমাদের নেই বলে ৭ দিন হাসপাতালে রাখার পর বাড়িতে নিয়ে এসেছি। চিকিৎকরা বলেছে স্ট্রোকের কারণে মায়ের মাথার রক্তনালী ছিড়ে গেছে। মাথার বিভিন্নস্থানে রক্ত জমাট বেধেছে। প্রয়োজন অপারেশন। এজন্য লাগবে আড়াই লাখ টাকা। এতো টাকা কোথায় পাবো। তাই ২৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে মাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, তার অবস্থা খুবই শোচনীয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার পাশাপাশি দলের জন্য নিবেদিত ছিল। কিন্তু তার এই দুঃসময়ে কেউ সহায়তা ও সমবেদনা জানায়নি। স্থানীয় এমপির কাছে চিকিৎসার জন্য আবেদন করেও লাভ হয়নি। তবে একুশে ফোরাম একমাত্র আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুতি যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে মাকে কিছু দিন বাঁচিয়ে রাখুন।
বেতিল গ্রামের মমতাজ বেগম গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে স্ট্রোক করলে তাকে জরুরিভাবে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথার রক্ত নালী ছিড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তার শরীরের অবস্থা সংকটনাপন্ন। অপারেশন জরুরি হলেও চিকিৎসা ব্যয় না মেটাতে পারায় পরিবারের সদস্যরা বুধবার রাতে বাড়ি নিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে হাসপাতালে অর্থাভাবে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়া মমতাজ বেগমকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যামে সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আশির্বাদপুষ্ট এই নেত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বামীকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধাদের প্রশিক্ষণে সহায়তা এবং শরণার্থী শিবিরে অসহায়দের নৌকায় পৌছানো ও খাবার সরবরাহে মূল ভুমিকা পালন করেছিলেন।
এসি