কাশ্মীর থেকে ৭ হাজার সেনা প্রত্যাহার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
কাশ্মীর থেকে আধা সামরিক বাহিনীর ৭ হাজারেরও বেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের সময় বিশ্বের অন্যতম সামরিকায়িত এলাকাটিতে নতুন করে এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। সেনা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা শেষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের (সিএপিএফ) ৭২ কোম্পানি জওয়ানকে কাশ্মীর থেকে তাদের পুরোনো কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিএপিএফ একটি কোম্পানি গঠন করা হয় প্রায় ১০০ জওয়ানের সমন্বয়ে। গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সময় সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি ও এসএসবি থেকে সমন্বয় করে এই জওয়ানদের উপত্যকায় পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ জারি হওয়ার পর সেন্ট্রাল পুলিশ ফোর্সের ২৪ কোম্পানি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স, ইন্দো-তিব্বতিয়ান বর্ডার পুলিশ ও সশস্ত্র সীমা বলের ১২টি করে কোম্পানিকেও তাদের কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। খবর এনডিটিভির
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার গত আগস্টে ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করে তাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে। এমন সিদ্ধান্তের আগে থেকেই সেখানকার মানুষকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মোবাইল, টেলিফোন, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেখানকার দোকানপাট দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে। তখন থেকে সেখানকার অর্থনীতিতে অচলাবস্থা চলছে। উপত্যকার অর্থনীতির চাকা নিয়ন্ত্রণকারী ফলের বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া পর্যটনসহ অর্থনীতির বাকি খাতগুলোর অবস্থাও নাজুক।