পুলিশকে মারধর করল মাহী বি. চৌধুরীর ছেলে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৯ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
গাড়ি থামানোর সংকেত দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের তিন সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ মাহী বি. চৌধুরীর ছেলে আরাজ বি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে রাজধানীর বনানী কবরস্থানসংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে আরাজকে থানা থেকে নিয়ে যান তার বাবা মাহী বি. চৌধুরী।
ট্রাফিক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বুধবার রাতে বনানী কবরস্থানসংলগ্ন সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেন এটিএসআই আলমগীর হোসেন, কনস্টেবল তোফায়েল ও ফজলুর রহমান। রাত ১০টার দিকে সড়কে বেপরোয়া গতির গাড়ি ভিডিও করছিলেন আলমগীর। এ সময় একটি দ্রুতগতির প্রাইভেটকার সিএনজিচালিত অটোরিকশার পেছনে ধাক্কা দেয়। তখন পুলিশ সদস্যরা গাড়িটি থামার সংকেত দেন এবং চালকের আসনে থাকা আরাজকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। গাড়ি থামানো এবং নামতে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে আরাজ তিন পুলিশ সদস্যকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করেন। এ দৃশ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা মোবাইল ফোনে ভিডিও শুরু করলে আরাজ ভিডিও বন্ধ করতে হুমকি দেন।
উত্তেজিত হয়ে আরাজ বলেন, ‘তারা কি জানে আমি কে। আমি মাহী বি. চৌধুরীর ছেলে।’ এ অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্ট নাজমুল হককে ফোনে বিষয়টি জানান এবং ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। আরাজের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিলেন।
আলমগীর বলেন, আরাজ ও তার গাড়িতে থাকা যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। নেশাগ্রস্ত আছেন বলার সঙ্গে সঙ্গে আবার আলমগীরকে মারধর এবং শার্টের কলার ধরেন আরাজ। একপর্যায়ে শার্টের বোতাম ছিঁড়ে যায়। পরে সার্জেন্ট নাজমুল হক ঘটনাস্থলে এসে আরাজকে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। তখনও অসদাচরণ করতে থাকেন আরাজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মাহী বি. চৌধুরী। আরাজকে বনানী থানায় নেওয়া হয়।
বনানী থানার ওসি নুরে আযম মিয়া বলেন, বিষয়টি থানায় বসে মিটমাট হয়ে যাওয়ায় মাহী বি. চৌধুরী রাতেই ছেলে আরাজকে নিয়ে যান।