ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তৃতীয় টার্মিনাল হলে শাহজালাল হবে সেরা বিমানবন্দর: প্রতিমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৭ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ‘তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর।’ 

আজ শুক্রবার তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিমান প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আশ্বস্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে।’

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২০১৮ সালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। এতে ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং নামের তিনটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামকে (এডিসি) কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন। সেই সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের নতুন দুটি ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করবেন তিনি।

জানা যায়, মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে সুপরিসর এই তৃতীয় টার্মিনাল। এই ব্যয়ের মধ্যে ১১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেবে জাইকা। বাংলাদেশ সরকার বাকি অর্থের যোগান দেবে। পরিকল্পনায় তৃতীয় টার্মিনালে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজ নির্মাণের সুযোগ রাখা হলেও প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হবে ১২টি। যানজট এড়াতে বিমানবন্দরের সংযোগ সড়কেও পরিবর্তন আনা হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে সাবওয়ে।

এছাড়া ৪১ হাজার ২০০ বর্গমিটার আয়োতনের একটি নতুন কার্গো ভিলেজ ও ৫ হাজার ৯০০ বর্গমিটার আয়তনের ভিভিআইপি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং মিলে গঠিত এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি) এই নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে।

নতুন টার্মিনাল হলে বছরে ২ কোটি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘টার্মিনালটি এমন একটি মেকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে এর প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যাবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন।

এমএস/এসি