জাতীয় পার্টির সম্মেলন আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৫ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:২৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার
গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার একদিন পরই জাতীয় পার্টির নবম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। সম্মেলনকে ঘিরে শুক্রবারই নেয়া হয়েছে সবধরনের প্রস্তুতি। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সকাল ১০টায় শুরু হবে এ সম্মেলন।
৩ বছর ১১ মাস ১০ দিন পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। এছাড়া দলটির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদকে দলের আমৃত্যু প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত পাস করা হবে।
দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টিতে সর্বোচ্চ সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত করা হচ্ছে। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন দলের এ পদে এককভাবে অধিষ্ঠিত থাকবেন, তার মৃত্যুর পরে পদটি আর কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না, বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনিই হবেন দলের শীর্ষনেতা। দলের যেকোনো পাবলিক মিটিংয়ে চেয়ারম্যানের উপরের মর্যাদা ভোগ করবেন তিনি। এছাড়া দলীয় পতাকা একমাত্র তার গাড়িতেই থাকবে। জাতীয় পার্টিতে এমন একটি নতুন পদ সৃষ্টি করে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) গঠনতন্ত্র অনুমোদন দিয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাপার প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে ‘চিফ প্যাট্রন’বা ‘প্রধান পৃষ্ঠপোষক’ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে মূল আকর্ষণ—এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে ‘চিফ প্যাট্রন’ নির্বাচিত করা। দলে তার সম্মান থাকবে সর্বোচ্চ। মিটিং বা সাধারণ সভাসহ সবখানেই তার এই সম্মান থাকবে।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপস্থিতিতে অষ্টম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলের আগে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে সরিয়ে বসানো হয় রুহুল আমিন হাওলাদারকে। এরপর একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে মহাসচিব পদে বসানো হয়।
চলিত বছরের ১৪ জুলাই রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ। তার নির্দেশনা অনুযায়ীই মৃত্যুর পর দলটির চেয়ারম্যান হন তার ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
এআই/