ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

জমি নিয়ে বিরোধে নারী ইউপি সদস্যকে মারধর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০২:১০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

হাসপাতালে ইউনিয়ন পরিষদের আহত সদস্য- একুশে টেলিভিশন

হাসপাতালে ইউনিয়ন পরিষদের আহত সদস্য- একুশে টেলিভিশন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারী ইউপি সদস্য ও তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকারের বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে মহসিন খন্দকারের নেতৃত্বে তার লোকজন ওই নারী ইউপি সদস্যের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মহসিন সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। 

সুহিলপুর ইউনিয়নের নারী সদস্য আহত আনোয়ারার ছেলে জনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে চাচা কালু খন্দকার ও চাচাতো ভাই মহসিন খন্দকার তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য জোর করে আসছে। আমরা এতে অনিহা প্রকাশ করলে প্রায় সময় আমাদের হুমকি-ধামকি দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় মহসিন খন্দকারের নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের জায়গা দখল করতে এলে আমরা বাধা দেই। এতে তারা আমাদের উপর দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা করতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ 

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকার বলেন, আনোয়ারার স্বামী মৃত্যুর আগে তার ছোট ভাই কালু খন্দকারের কাছে জায়গা বিক্রি করে যান। এ নিয়ে শুক্রবার আনোয়ারার বাড়িতে সালিশি বৈঠক হয়েছিল। আমরা বলেছি জায়গাটি লিখে দেওয়ার জন্য। কিন্তু রায় না মেনে আনোয়ারা ও তার দুই ছেলে চেয়ার ছুড়ে মারেন। পরে হাতাহাতি হলে আমিও ব্যাথা পাই। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার খবর শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এআই/