ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

রওশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পদের মর্যাদা কতটুকু?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৩:৪৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ পত্নী ও কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি আমৃত্যু এ পদে বহাল থাকবেন। 

আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় পার্টি নবম সম্মেলন তার অনুপস্থিতিতেই এ ঘোষণা করা হয়। দলটির নতুন কমিটির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান হয়েছেন জিএম কাদের (গোলাম মোহাম্মদ কাদের), মহাসচিব হয়েছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। 

এদিকে সম্মেলনে রওশন এরশাদের উপস্থিত না থাকা নেতাকর্মীদের মাঝে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। 

গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার একদিন পরই আজ শনিবার জাতীয় পার্টির নবম জাতীয় সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সকাল ১০টায় শুরু হয়। 

কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম তাদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেট এতে অনুমোদন দেন। কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদকে দলের আমৃত্যু প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান করা ঘোষণা করা হয়। 

জানা যায়, পৃষ্ঠপোষক করার মাধ্যমে দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টিতে সর্বোচ্চ সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন দলের এ পদে এককভাবে অধিষ্ঠিত থাকবেন, তার মৃত্যুর পরে পদটি আর কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না, বিলুপ্ত হয়ে যাবে। 

প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনিই হবেন দলের শীর্ষনেতা। দলের যেকোনো পাবলিক মিটিংয়ে চেয়ারম‌্যানের উপরের মর্যাদা ভোগ করবেন তিনি। এছাড়া দলীয় পতাকা একমাত্র তার গাড়িতেই থাকবে। জাতীয় পার্টিতে এমন একটি নতুন পদ সৃষ্টি করে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) গঠনতন্ত্র অনুমোদন দিয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাপার প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে ‘চিফ প্যাট্রন’ বা ‘প্রধান পৃষ্ঠপোষক’ করা হয়েছে। 

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, গোলাম কিবরিয়া টিপু, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, মো. আবুল কাশেম, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাহিদুর রহমান, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ টি ইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মুজিবর রহমান সেন্টু, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মো. মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, সেলিম ওসমান প্রমুখ।