ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

জয়পুরহাটে তানিয়া বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর বাঁশের বর্গার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে কালাই উপজেলার কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ বাড়ির সকলে পলাতক রয়েছেন। তানিয়ার স্বামী ফেরদাউস হোসেন ওই মহল্লার বাক্কার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায় , দু’বছর আগে ফেরদাউস হোসেনের সাথে ক্ষেতলাল উপজেলার বুড়ইল গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে তানিয়ার বিবাহ হয়। এরপর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। 

গত এক মাস আগে ফেরদাউস আবারও দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এরই জেরে গত কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। শুক্রবার বিকেলে ফেরদাউস ও তানিয়ার মাঝে আবারও ঝগড়ার একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মারা যায় তানিয়া।

বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে স্বামীসহ পরিবারের সকলে মিলে তানিয়ার মরদেহে দঁড়ি বেঁধে নিজ ঘরের বাঁশের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। এরপর ঘরের গেটে তালা-চাবি ঝুলিয়ে বাহিরে গিয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জানান তানিয়া গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়ার মাথায় আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ততক্ষণে তানিয়ার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 
 
প্রতিবেশী আনোয়ার ও তোহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফেরদাউস এর আগেও একজনকে হত্যার দায়ে জেল খেটেছেন। তার পক্ষে স্ত্রীকে হত্যা করা খুবই সহজ। সে একজন নেশাখোর।’

আরেক প্রতিবেশী বাবু বলেন, ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য তানিয়াকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করেনি।’
 
তানিয়ার বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার নিরপরাধ মেয়েকে নির্যাতন করে সকলে মিলে হত্যা করেছে। আমি ওদের সকলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করবো। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।        

জানতে চাইলে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খাঁন শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বলেন, আসলে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই আসল রহস্য জানা যাবে। 

তবে ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের সকলে পলাতক রয়েছে। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানান তিনি।

এআই/এসি