সিএএ মুসলিমদের উপর প্রভাব ফেলবে: মার্কিন রিপোর্ট
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের ২০ কোটি মুসলিম নাগরিকের সার্বিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে। মার্কিন কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)’-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতে সিএএ-র প্রভাব নিয়ে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের তদারকি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলসের মন্তব্যও।
ভারতের নতুন আইন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে অ্যালিস বলেছেন, ‘‘সিএএ-র মতো সামাজিক ইস্যুগুলি যে শুধুই মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের আন্তরিকতাকে ক্ষুণ্ণ করবে, তা নয়; ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার দেশগুলিতে আমরা (আমেরিকা) যে মুক্ত ও অবাধ স্বাধীনতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছি, সেই প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার পথ থেকেও ভারতকে দূরে সরিয়ে দেবে।’’
ভারতের নতুন আইন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে অ্যালিস বলেছেন, ‘‘সিএএ-র মতো সামাজিক ইস্যুগুলি যে শুধুই মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের আন্তরিকতাকে ক্ষুণ্ণ করবে, তা নয়; ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার দেশগুলিতে আমরা (আমেরিকা) যে মুক্ত ও অবাধ স্বাধীনতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছি, সেই প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার পথ থেকেও ভারতকে দূরে সরিয়ে দেবে।’’
সরকারি ভাবে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্ট না হলেও সিআরএস-এর এই রিপোর্ট বানানো হয়েছে কংগ্রেস সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মতামতের ভিত্তিতেই।
মার্কিন কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত শুধুই বিদেশি আগ্রাসনকারীদের হাতে লু্ণ্ঠিত হয়েছে, এই ভাবেই সে দেশের ইতিহাসটাকে ব্যাখ্যা করতে চাইছেন হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা। শুধু এই ভাবেই বিষয়টিকে তাঁরা দেখছেন। দেখাতে চাইছেন। তার ফলে, তাঁরা আধুনিক ভারতের দুই প্রতিষ্ঠাতা জওহরলাল নেহরু ও মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর দর্মনিরপেক্ষতার ভাবাদর্শকেও বাতিল করে দিয়েছেন।
রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘‘বহু বিশেষজ্ঞের ধারণা, দেশের উত্তরোত্তর ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি থেকে মানুষের নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাজনৈতিক সমর্থন ধরে রাখতে বিজেপি সরকার এখন আবেগের উপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে।’’ আনন্দবাজার
এসি