ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাজিল তারকার ৯ বছর জেল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার
রবিনহো
ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য খবরটা বড় ধাক্কার মতোই বটে। কেননা, ধর্ষণের দায়ে ৯ বছর জেলের সাজা শুনেছেন সাবেক ব্রাজিল সুপারস্টার রবিনহো! ২০১৩ সালে আলবেলিয় এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে এই শাস্তি হয়েছে তার।
যদিও এই ঘটনায় আদালত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার। এই শাস্তির বিরুদ্ধে দুটি আপিলের সুযোগ আছে রবিনহোর।
তবে ব্রাজিলে অবস্থান করায় তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গেছে। ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, অন্য কোনও দেশ বিচারের জন্য কোনও ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে যেতে পারে না। ফলে রবিনহো যদি ব্রাজিলের বাইরে যায়, তখনই শুধু গ্রেপ্তার হবেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে এক ডিসকো বারে এক আলবেনিয় নারীকে মদ খাইয়ে রবিনহো এবং ৫ ব্রাজিলিয় মিলে গণধর্ষণ করেন। সেই নির্যাতিতা নারী এরপর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রবিনহো ইতালিতে না ফিরলেও মামলা চালিয়ে গেছেন মিলানের আদালত।
তবে রবিনহোর বাকি পাঁচ সঙ্গীর ব্যাপারে এখনও কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাদের বিচার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সাজা ঘোষণার পাশাপাশি মিলানের আদালত ভুক্তভোগীকে ৬০ হাজার ইউরো দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও মামলা চলাকালীন আদালতে কখনওই হাজির হননি রবিনহো। তবে আইনজীবীদের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি।
এবার শাস্তি ঘোষণার পর ইনস্টাগ্রামে নিজেকে আবার নির্দোষ দাবি করেছেন ব্রাজিল সুপারস্টার। রবিনহোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, সব ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন রবিনহো। সে এ ঘটনায় অংশ নেয়নি। এ বিষয়ে সবরকম আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, সান্তোসের একাডেমিতে আলো ছড়ানো রবিনহো এক সময় পরিচিতি পেয়েছিলেন 'নতুন পেলে' নামে। নেইমারের আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত একাডেমির বিংশ শতাব্দীর সেরা প্রতিভা ভাবা হতো তাকে। ১৯ বছর বয়সে রিয়ালে এসে ৩ বছর পরেই ম্যানচেস্টার সিটিতে চলে যান। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত খেলেছেন এসি মিলানে।
৩৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর জার্সিতে খেলছিলেন। মিলানে খেলার সময়ই নাকি ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটান তিনি। তবে মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ দেশ ব্রাজিলে অবস্থান করছেন রবিনহো।
এনএস/