৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঠাণ্ডায় গরম হাওয়া দেবে হেমন্তের শপথ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচির তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ৪ ডিগ্রিতে নেমেছে। আর ম্যাকলাক্সিগঞ্জের মতো ছোট পাহাড়ি শহরে শনিবার তো শূন্য ডিগ্রিতেই নেমে নজির তৈরি করেছিল। এমনই প্রবল শীতের দাপটে কাঁপতে থাকা ঝাড়খণ্ডের নতুন অ-বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ রোববার শপথ নেবেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন।
পূর্ব ভারতের রাজ্যটির রাজধানী রাঁচিতে মহাসমারোহে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন তিনি। স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে মোরাবাদি ময়দানে। রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মূ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন। দিনটিকে ‘সংকল্প দিবস' বলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী দফতরের তরফ থেকে।
জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত সোরেন। মনে করা হচ্ছে, আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোটের সরকারে দলগুলোর একতা প্রদর্শিত হবে।
এক সরকারি বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নক্ষত্র সমাবেশ হবে। থাকবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা, এনসিপি প্রধান শরদপাওয়ার, তেজস্বী যাদব, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
এছাড়াও থাকবেন পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাদের মধ্যে অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ও মহারাষ্ট্রের নব্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে উপস্থিত থাকবেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
এর আগে গত সোমবার ছিল গণনার দিন। সেদিন ৮১ আসনের বিধানসভার ৪৭টি আসন দখল করে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির। তারা পায় মাত্র ২৫টি আসন।
দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন কম বয়সেই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডার সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় দল বিজেপির সমর্থন করে সরকার গড়েছিল। পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে জেএমএম সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় শাসন জারি হয়। জুলাই মাসে হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে শপথ নিয়ে দেশের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। তবে সেবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন মাত্র ১৭ মাস।
ওই অল্প সময়েই সরকারি চাকরিতে নারীদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের মতো পদক্ষেপ নেন তিনি। পাশাপাশি পশ্চিম সিংভূম, সারান্ডায় মাওবাদী অভ্যুত্থানের মোকাবিলাও করে তার সরকার।
বিহারের দক্ষিণাংশ থেকে আলাদা হয়ে ২০০০ সালের ১৫ নভেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে ঝাড়খণ্ড এযাবৎ ন’টি সরকার পেয়েছে। তিনবার সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে।
একে//