ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যে পাঁচ ব্যথাকে ভুলেও অবহেলা করবেন না!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৫ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

রক্ত মাংসের শরীর সব সময় সার্ভিস দিয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে বেঁকেও বসে। শরীরের কোন কোন জায়গায় মাঝে মধ্যেই টুকটাক ব্যথা হয় অনেকের। কখনও কম, কখনও বেশি— এসব ব্যথাকে অধিকাংশ সময়েই তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ এসব ব্যথাই বড় কোনও সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। যা ভবিষ্যতে প্রাণঘাতী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে! তাই এসব ব্যাথাকে মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। 

শরীরের এরকম ব্যথা সম্পর্কে ধারণা থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়। প্রথম দিকে চিকিৎসা নিলে জটিল কোন রোগব্যধি এড়ানো যায়। তাই এবার জেনে নিন শারীরিক কিছু ব্যথা সম্পর্কে, যেগুলো একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়...

১. পিঠের মাঝামাঝি জায়গায় ব্যথা, জ্বর এবং ক্লান্তিকে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, এগুলো হতে পারে কিডনির বড়সড় সমস্যার আগাম লক্ষণ। কিডনিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ইউরিন ইনফেকশনের জন্য এ ধরনের ব্যাথা হতে পারে।

২. হঠাৎ করে যদি মাথায় অস্বাভাবিক যন্ত্রণা শুরু হয় এবং মাথার ব্যথায় দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হতে শুরু করে, তাহলে বিষয়টিকে অবহেলা করবেন না। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, কোন আঘাত, টিউমার ইত্যাদির কারণে মাথায় এ ধরনের অস্বাভাবিক ব্যথা হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৩. মেয়েদের ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে যদি অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা থাকে এবং সেই ব্যথা যদি সহজে না কমে, তাহলে বিষয়টা একেবারেই অবহেলা করবেন না। কারণ, নানা ধরনের গাইনি সমস্যার কারণে ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪. আপনার দাঁত ব্যাথার মাত্রা যদি এতোটাই বৃদ্ধি পায় যে, মাঝ রাতে দাঁত ব্যথার কারণে ঘুম ভেঙে যায়। তাহলে দ্রুত দাঁতের ডাক্তার দেখানো উচিত। দাঁতের ছিদ্রের মাধ্যমে ইনফেকশন মাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে দাঁতে অতিরিক্ত ব্যথা হতে পারে। ইনফেকশন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার আগে চিকিৎসা নিন।

৫. তল পেটের ডান দিকে ব্যথা যদি ২৪ ঘন্টার বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং ব্যাথার স্থান যদি ঘন ঘন তল পেটের নানা অংশে ঘোরাফেরা করতে থাকে তাহলে এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। চিকিৎসকই বলতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে অস্ত্রপচার করা কতটা জরুরি বা কখন করা উচিত। মনে রাখবেন অ্যাপেন্ডিস ফেটে গেলে সমস্যা আরও বাড়বে।

এএইচ/