মুখ খুললেন সাঈদ খোকন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৩:১১ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন গতকাল রোববার থেকে সারাদিন মিডিয়ায় কোনো কথা না বললেও আজ সোমবার মুখ খুলেছেন তিনি।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে একুশে টেলিভিশনকে সাঈদ খোকন জানান, ‘আমি এখন এ বিষয়ে কোনো বলতে চাই না। আজ বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলব। সেখানে আমার মন্তব্য জানাব।’
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় জানিয়েছেন, ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বিকাল ৩টায় নগরভবনে গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে নিজের মন্তব্য জানাবেন।
গতকাল রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দিন ছিল। প্রার্থীতার মনোনয়নের ঘোষণায় আসেনি বর্তমান মেয়রের নাম। এ পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক (রোববার থেকে আসন শূন্য হয়) সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস। এদিন বনানীর বাসা থেকে বেরই হননি সাঈদ খোকন। তার বাসাতেও দেখা যায়নি ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরদের। এমনকি বাসার আশপাশেও দেখা মেলেনি কোনো নেতাকর্মীদের।
একটি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বেলা ১১টার পরপরই ডিএসসিসির নগর ভবনে নিজ দপ্তরে যেতেন সাঈদ খোকন। দলের মনোনয়ন ঘোষণার দিন নিজের বাসাতেই ছিলেন সাঈদ খোকন। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি হতাশ। তাঁকে সমবেদনা জানাতে পরিবারের সদস্যদের বাইরে অন্য কেউ তাঁর বাসায় যাননি। অথচ গত শনিবার পর্যন্ত তাঁর বাসায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় লেগেই থাকত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাঈদ খোকনের বাসায় কর্মরত একজন জানান, মেয়র পদে দলের সমর্থন পাবেন, এ বিষয়ে তাঁর (সাঈদ খোকন) আত্মবিশ্বাস ছিল। গত কয়েক দিন তাঁর বাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরদেরও ভিড় ছিল। কিন্তু গতকালের চিত্র ছিল ভিন্ন রকম। তাঁকে সমবেদনা জানাতে ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী, কাউন্সিলর, ঠিকাদার-কেউই যাননি।
এ বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় সমালোচিত দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন যে এবার আর আওয়ামী লীগের টিকেট পাচ্ছেন না, সে আভাস গত ২৬ ডিসেম্বরই পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলতে এসে কাঁদতে কাঁদতে খোকন বলেছিলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি ‘কঠিন সময়’ পার করছেন। তার জায়গায় এবার মনোনয়ন পাওয়া ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে। তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসা তাপস বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদেরও নেতৃত্বে আছেন। তার বড় ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ গত নভেম্বরে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা দুই ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন পুরান ঢাকার ছেলে সাঈদ খোকন। ওই বছর ৬ মে মেয়র হিসেবে শপথ নেন তিনি। আগামী বছর ১৭ মে পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বে আছেন সাঈদ খোকন।