ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মুস্তাফিজ-ডেলপোর্ট তাণ্ডবে রংপুরের দ্বিতীয় জয় 

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

মুস্তাফিজকে ঘিরে রংপুরের উল্লাস

মুস্তাফিজকে ঘিরে রংপুরের উল্লাস

নিজের অফ ফর্মের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিয়েছিলেন বিপিএলের চট্টগ্রামের পর্বের শেষভাগেই। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আজ (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকায় রীতিমতো আগুন ঝরালেন মুস্তাফিজ। পরে ডেলপোর্টের ব্যাটিং তাণ্ডবে চলতি বিপিএলে দ্বিতীয় জয় পেল রংপুর রেঞ্জার্স।

এদিন মিরপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাবে ১৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। সিলেটকে সাত উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পায় রংপুর। অন্যদিকে সপ্তম পরাজয় দেখলো মোসাদ্দেকের দল। 

যদিও সিলেটের দেয়া ১৩৪ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। প্রথম ম্যাচের মতো আজও বিপিএল মাতাতে ব্যর্থ হন উড়িয়ে নিয়ে আসা ওয়াটসন। ফেরেন মাত্র ১ রান করেই। এরপর নাঈমকে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে ছুটিতে থাকেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। গড়েন ৯৯ রানের অনবদ্য জুটি। 

নাভিন উল হকের শিকার হওয়ার আগে কাজের কাজটা অবশ্য সেরে ফেলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ফিফটি তুলে নেয়া ডেলপোর্ট আউট হন ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। তার ২৮ বলের এই তাণ্ডুবে ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কা ও ছয়টি চারের মার। 

এরপর গ্রেগরি এসেই দ্রুত ফিরলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। মারকুটে এই ওপেনার এদিন একটু ধীরেই খেলেন। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকলেও বল মোকাবেলা করেন ৫০টি। মাত্র দুটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তরুণ এই বাঁহাতি। সঙ্গে ১২ বলে ১৮ রান করে অজেয় ছিলে মোহাম্মদ নবি। 

তার আগে বোলিংয়ে নেমে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা সারেন মুস্তাফিজ। চার ওভারে মাত ১০ রান খরচায় তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগালেন। মুস্তাফিজ তোপে পুড়ে প্রথম ব্যাট করতে নামা সিলেট থান্ডার্সের ইনিংস থেমেছে ১৩৩ রানে।

টস জিতে সিলেটকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুর রেঞ্জার্সের নতুন অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। শুরুতেই সিলেটকে চেপে ধরেন রংপুরের আরাফাত সানি ও মুস্তাফিজ। পরে মোহাম্মদ নবি, লুইস গ্রেগরিরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিলে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি সিলেট।

এক মোহাম্মদ মিঠুনই কেবল লড়তে পেরেছেন। ৪৭ বল খেলে ৪ চার ২ ছয়ে ৬২ রান করেন তিনি। সিলেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রাদারফোর্ড, ১৬ রান করেছেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ওই রান তোলে সিলেট। মুস্তাফিজ ছাড়া রংপুরের অপর চার বোলার আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নবি ও লুইস গ্রেগরি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

এনএস/