ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫৫ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে আটক দুজন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে আটক দুজন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন হামলায় আহত কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ হারুনুর রশিদ। 

মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক যুবলীগ নেতা ও পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আলমগীর এবং গ্রেপ্তার হওয়া মোঃ শামীমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলাকারিরা সে সময় ইটপাটকেলও ছোড়ে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় গত রোববার দুপুরে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কসবার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। 

এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হোতা উপজেলার আকছিনা গ্রামের বাসিন্দা কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আলমগীর ও মোঃ শামীম নামে দুইজনকে আটক করা হয়। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্যের ভ্রাম্যমাণ আদালত আলমগীরকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। 

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহর বিলঘর এলাকায় পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলযোগে আসা অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। হামলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদউল আলম, কসবা থানার এস আই মোঃ হারুনুর রশিদ, হাবিলদার আলী আজম, কনস্টেবল মাহবুবুল, জয়রুফসহ ৫ জন আহত হন।  

এ সময় বহরের সঙ্গে থাকা পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ লোকমান হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিতেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। লোকমানসহ দুইজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এনএস/