টেস্ট ম্যাচ চার দিনে শেষ করতে চায় আইসিসি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৬ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
টেস্ট ক্রিকেটে বড় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। ২০২৩ সাল থেকে চার দিনের টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে চাচ্ছে আইসিসি। টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত যেসব টেস্ট থাকবে, তাতেই এই বদলগুলো আনতে চায় এই সংস্থাটি। টেস্ট ম্যাচের প্রতিদিনের ওভার বাড়িয়ে একটি দিন কমানোর উদ্দেশ্য আইসিসির।
আইসিসির এই উদ্দেশ্যের পিছনে কয়েকটি কারণ উঠে এসেছে। যেমন- এক. আরও বেশি করে বিশ্ব জুড়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। দুই. রমরমা টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য আরও সময় বের করা। তিন. খরচ কমানো, পাঁচ দিনের ম্যাচ আয়োজনের খরচ অনেক বেশি, তাই চার দিনের হলে খরচ কমবে। চার. আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন সম্ভব হবে। মনে করা হচ্ছে, ২০১৫-২০২৩ সময়ের মধ্যে যদি চার দিনের টেস্ট খেলা হয়, তাহলে ক্রিকেট সূচিতে ৩৩৫ দিন বেশি পাওয়া যাবে।
চার দিনের টেস্ট অবশ্য নতুন নয়। এই বছরে ইংল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ডের মধ্যে চার দিনের টেস্ট হয়েছিল। তার আগে ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আর জিম্বাবুয়ের মধ্যেও চার দিনের টেস্ট খেলা হয়েছিল। সব কটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ পরস্পরের মধ্যে চার দিনের টেস্ট খেলেছে।
চার দিনের টেস্ট ম্যাচ হলে প্রতিদিন ৯০ ওভারের পরিবর্তে ৯৮ ওভার করে হবে বলে ঠিক করেছে আইসিসি। সে ক্ষেত্রে টেস্ট যদি চার দিনের হয় তবে ৫৮ ওভার কম খেলা হবে। তবে প্রশ্নও উঠছে, ৯০ ওভার শেষ করতেই বাড়তি আধা ঘণ্টা সময় দিতে হয় অনেক টেস্টে। সে ক্ষেত্রে ৯৮ ওভার কি করে এক দিনে শেষ করা সম্ভব হবে? বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট দলে যদি পেসারদের সংখ্যা বেশি থাকে।
তবে আইসিসির এই পরিকল্পনা সম্পর্কে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কেভিন রবার্টস বলেছেন, চার দিনের টেস্ট ম্যাচের ব্যাপারটা ভেবে দেখা যেতেই পারে। তার মতে, ‘শুধুমাত্র আবেগের বশে কোন সিদ্ধান্ত নিলে হবে না। পরিসংখ্যান এবং তথ্য ঘেঁটে দেখতে হবে। যেমন আমাদের দেখতে হবে, গত পাঁচ-দশ বছরে টেস্ট ম্যাচ গড়ে কত দিন আর কত ওভার করে খেলা হয়েছে।’
আবার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন বলেছেন, অ্যাশেজে যদি চার দিনের টেস্ট হত, তাহলে আমরা কোন ফল পেতাম না। কারণ এবারের অ্যাশেজের সব কটি টেস্টই পাঁচ দিনে গড়িয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে বাকি ফর্ম্যাটের তো এখানেই পার্থক্য। পাঁচ দিন ধরে একজন ক্রিকেটারকে লড়াই করে যেতে হয়। মানসিক, শারীরিকভাবে ব্যাপারটা খুব সোজা নয়। তাই চার দিনের প্রথম শ্রেণির ম্যাচগুলোর চেয়ে পাঁচ দিনের টেস্ট একজন ক্রিকেটারের অনেক বেশি পরীক্ষা নেয়। আশা করব, টেস্ট ম্যাচের দিন কমানো হবে না।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও রবার্টস পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হল, ২০২৩ থেকে ২০৩১ এই সময়ের ক্রীড়াসূচি তৈরি করে ফেলা। ব্যাপারটা যদিও সোজা নয়। তবে কাজটা আমাদের করতে হবে।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন, ২০২৩ সাল থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চার দিনের টেস্ট বাধ্যতামূলক করার যে প্রস্তাব দিয়েছে আইসিসি তা নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। প্রথমে আমাদের দেখতে হবে প্রস্তাবটা। আগে আসুক, তারপর দেখছি। এখনই কিছু বলাটা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। এভাবে বলা যায় না।'
সূত্র: ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম
এএইচ/