কাউকে তাড়ানোর অধিকার বিজেপির নেই: মমতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই আন্দোলন গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন। এনআরসির নামে দেশ থেকে মানুষকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় শাসক দল। কিন্তু দেশ থেকে কাউকে তাড়ানোর অধিকার তাদের নেই।
তিনি বলেন, দেশের সব জায়গায় এই আন্দোলন হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। তাই তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে।
স্থানীয় সময় সোমবার পুরুলিয়ায় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে মমতা এসব কথা বলেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে দেশবাসীকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, এনআরসির নামে দেশ থেকে মানুষকে বিতাড়িত করার যে চক্রান্ত বিজেপি করছে তা সফল হবে না। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দিন।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৯ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারকে হঠাতে বিরোধী ঐক্যের অন্যতম পুরোধা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শেষমেশ বিরোধী শক্তিকে হারিয়েই দিল্লির মসনদে বসেন মোদি-শাহরা।
এরপর এনআরসি ও সিএএ ইস্যুতে আবারও বিজেপির বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বিরোধী ঐক্যের ছবি ধরা পড়েছে গত রোববার ঝাড়খণ্ডে।
নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠান ছিল কার্যত বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ। এই প্রেক্ষিতে জনগণের উদ্দেশ্যে মমতার এহেন বার্তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সোচ্চার তৃণমূল সুপ্রিমো। নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে একই ইস্যুতে পথে নামার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এর আগে কলকাতায় চারটি ও হাওড়া থেকে কলকাতার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত সিএএ-এনআরসি বিরোধী মিছিল করেছে রাজ্যের শাসক দল।
দল নেত্রীর নির্দেশে প্রতিটা জেলা, বিধানসভা ও ব্লকে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পদযাত্রা হয়েছে। পাল্টা কলকাতা ও জেলায় জেলায় সিএএ-এর পক্ষে মিছিল করছে বিজেপিও।
এআই/