বাগদাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে হামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৭ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়াদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে বিমান হামলা করেছিলো, তারই জের ধরে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কম্পাউণ্ডে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ লোকজন। খবর বিবিসি বাংলা
এ সময় তারা কম্পাউন্ডের কাছে প্রহরা চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলায় উস্কানি দেয়ার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।
রবিবার ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালায়, তাতে অন্তত ২৫ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছিলো।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা কিরকুকে ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলার জবাব দিয়েছে, যে হামলায় একজন মার্কিন বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, মঙ্গলবার তাদেরই শেষকৃত্য হচ্ছিলো বাগদাদে। আর সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে।
আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ কয়েকজন সিনিয়র মিলিশিয়া ও প্যারামিলিটারি নেতা হাজার হাজার শোকাহত মানুষের সঙ্গে হেঁটে ইরাকের গ্রিন জোনের দিকে যান। ওই এলাকায়ই ইরাকের অধিকাংশ সরকারি অফিস ও বিদেশী দূতাবাস অবস্থিত।
খবরে বলা হচ্ছে, ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও তাদের ওই জোনে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে রাস্তায় সমবেত হওয়ার সুযোগ দেয়।
ওই সমাবেশ থেকে কাতাইব হেজবুল্লাহ ও অন্য মিলিশিয়াদের পতাকা বহন করে আমেরিকা বিরোধী শ্লোগান দেয়া হয়।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের প্রধান গেট লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন এবং এক পর্যায়ে সিকিউরিটি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলেন।
এ সময় গার্ড চৌকিতে আগুন দেয়া হয় এবং গুলির শব্দও শোনা যায়। এক পর্যায়ে কম্পাউন্ডের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সৈন্যদের টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ার আগে তারা কম্পাউন্ডের বেশ খানিকটা ভেতরেও ঢুকে পড়েন।
পরে ঘটনাস্থলে ইরাকি সৈন্য ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী আব্দুল মাহদি বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে দূতাবাস চত্বর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
তবে আল-সুমাইরা ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কাতাইব হেজবুল্লাহ গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বন্ধ এবং দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটে লিখেছেন: "ইরান আমেরিকান ঠিকাদারকে খুন করেছে। বহু মানুষকে আহত করেছে। আমরা শক্ত জবাব দিবো।
"এখন ইরান দূতাবাসে হামলার ঘটনা সংগঠিত করেছে। তাদেরকে এজন্য জবাবদিহি করতে হবে। একই সাথে আশা করি ইরাক দূতাবাস সুরক্ষায় তার ফোর্স ব্যবহার করবে"।
এসি