সারা দেশে বই উৎসব শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:৫৫ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার
বছরের প্রথম দিন নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা || ছবি : সুমন রায়হান
আজ নতুন বছরের প্রথম দিন। এ দিনেই সারা দেশে বই উৎসব শুরু হয়েছে। বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেয়ে উল্লসিত সারাদেশের বিদ্যালয়পড়ুয়া চার কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থী।
প্রায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসায় আজ বুধবার শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যবই। এজন্য দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে লেগেছে উৎসবের ছোঁয়া। খালি হাতে বিদ্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরেছে নতুন বই নিয়ে।
বছরের শুরুর দিনে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বই উৎসব দিবস’।
যদিও গতকাল গণভবনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মূল উৎসব হচ্ছে আজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক তুলে নিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০টায় শুরু হয় বই উৎসব। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে ‘বই উৎসব দিবস’ পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। সকাল নয়টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
উল্লেখ্য, এবার সারাদেশে ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৩৭৫টি বই এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭৯টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
এনসিটিবির সহযোগিতায় টানা ১০ বছর ধরে বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসএ/