ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ছবিতে ইউরোপের ১২ দেশের নববর্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

ঝলমলে আলোয় ইউরোপে নববর্ষ উদযাপন- ফাইল ছবি

ঝলমলে আলোয় ইউরোপে নববর্ষ উদযাপন- ফাইল ছবি

ইংরেজি নববর্ষ। নানা আয়োজনে বিদায়ী বছরের সকল কর্মপ্রনালী শেষে নতুন বছরের পথচলা শুরু হয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেশে দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউরোপের ১২টি দেশে আয়োজনকে ছবিতে তুলে ধরা হলো। 

 

স্কটল্যান্ড
আতশবাজির ঝলকানি আর পুরুষরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে প্যারেড করে ৩১ ডিসেম্বর ‘হোগমানেই’ উৎসব পালন করে। মধ্যরাতে লোকজন দলবেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকসঙ্গীত গায়। বিশ্বাস করা হয়, তারা সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভব হলে তাদের এক বোতল হুইস্কি দিতে হয়।

 


ডেনমার্ক
দীর্ঘ ঐতিহ্য অনুযায়ী ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় রানি দ্বিতীয় মার্গ্রেট নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান৷ তার ওই ভাষণ সব রেডিও ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ অনেকে মধ্যরাতে চেয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে নতুন বছরে প্রবেশ করেন।

জার্মানি
জার্মানিতে নতুন বছরে লোকজন ছোট ছোট উপহার বিনিময় করেন। যেটিকে সৌভাগ্য বয়ে আনার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও সীসার তৈরি কোনো ছোট মূর্তি গলিয়ে তা পানিতে ছুড়ে মারতে মারতে আসছে বছরের সৌভাগ্য কামনা করতেও দেখা যায়।

অস্ট্রিয়ায়
অস্ট্রিয়ায় নতুন বছরে ওয়াল্টজ্ নাচে অংশ নেওয়া ঐতিহ্যের অংশ। এছাড়াও সেখানে ‘সুইট ফিশ’ নামে মাছের আকৃতির একটি বিস্কুট খাওয়ার রেওয়াজ আছে, যেটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক ভাবা হয়। কিন্তু মাছের পাখনা খাওয়া যাবে না। তাহলে সৌভাগ্য সাঁতরে পালিয়ে যাবে বল বিশ্বাস করা হয়।

সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জোরে জোরে ড্রাম বাজিয়ে চিৎকার করতে করতে প্যারেড করা হয়। তাদের বিশ্বাস এভাবে শব্দ করে তারা প্রেতাত্মা ও দৈত্যদের তাড়াতে পারবে। তবে দেশটিতে আতশবাজি পোড়াতে খুব একটা দেখা যায় না। বরং ডিনারে ঐতিহ্যবাহী খাবার খান তারা।

স্পেন
স্পেনে শহর বা গ্রামে লোকজন আঙুর হাতে সেন্ট্রাল স্কয়ারে জড় হন এবং ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে মিলিয়ে একটি একটি করে সেগুলো খান।

ফ্রান্স
ফরাসিরা ভালো খাবার, শ্যাম্পেইন ও ভালো মানের ওয়াইন খেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান। এখানেও আতশবাজি পোড়ানোর খুব একটা চল নেই।

ইতালি
ইতালিতে পুরুষরা নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রিয়তমাকে লাল রঙের অন্তর্বাস উপহার দেন এবং সন্ধ্যায় ভালো কোথাও ডিনারে নিয়ে যান।

চেক প্রজাতন্ত্র
চেক প্রজাতন্ত্রে শ্যাম্পেইন ঝাকিয়ে এবং স্যান্ডুইচ খেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়৷ মধ্যরাতে প্রাগে আতশবাজি পোড়ানো হয়।

বুলগেরিয়া
প্রেতাত্মাদের তাড়াতে নতুন বছরে বুলগেরিয়ার লোকজন প্রচণ্ড শব্দ করে। প্যারেডে পুরুষরা সাধারণত দানবের মুখোশ ও গোল পোশাক পরেন। নতুন বছরে প্রচুর ফসল কামনায় এই নাচ করা হয়।

গ্রিস
অনেক গ্রিকের কাছে ৩১ ডিসেম্বরের সন্ধ্যা মানে শুধুই জুয়া খেলা। বিশ্বাস করা হয়, এই রাতে যিনি খেলায় জিতবেন তিনি নতুন বছরে ধনী হবেন এবং যিনি হেরে যাবেন তার জীবনে ভালোবাসা আসবে। বেকারিগুলোতে পাউরুটির মধ্যে কয়েন লুকিয়ে রাখা হয়, যিনি ওই কয়েন পাবেন তিনি নতুন বছরে লাখপতি হবেন বলে বিশ্বাস করা হয়।

তুরস্ক
তুরস্কে নতুন বছরে ‘ফাদার নোয়েল’ শিশুদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন৷ বড়রা বাড়ির সবগুলো কল খুলে রাখেন৷ বিশ্বাস করা হয়, নতুন বছরে সৌভাগ্য কলের পানির সঙ্গে ভেসে আসবে৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

এমএস/