ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বছরের প্রথমদিন বিশ্বে ৪ লাখ শিশুর জন্ম!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪০ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

বিদায় নিয়েছে ২০১৯। নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ২০২০-এ পা রেখেছে বিশ্ব। বছরের প্রথম দিন সারা পৃথিবীতে জন্ম নিল প্রায় ৪ লাখ শিশু। ইউনিসেফ এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বছরের প্রথম দিনে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৮ জন।

তালিকায় এক নম্বরে ভারত। ১ জানুয়ারি ভারতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ৬৭ হাজার ৩৮৫ জন শিশু। ইউনিসেফ এই তথ্য জানিয়েছে। ভারতের পরেই স্থান চীনের। সেখানে জন্মেছে ৪৬ হাজার ২৯৯টি শিশু।

ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোর জানান, নতুন বছর ও নতুন দশকের শুরুতে আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ। কেবল আমাদের ভবিষ্যতের জন্যই নয়, তাদের ভবিষ্যতের জন্যও, যাদের আমরা নিয়ে এলাম। প্রতি বছর ক্যালেন্ডার জানুয়ারিতে পৌঁছালে আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিই সমস্ত শিশুর মধ্যেই সম্ভাবনা রয়েছে, যদি তাদের সুযোগ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের প্রথম শিশুটি সম্ভবত ভূমিষ্ঠ হয় ফিজিতে। আর নতুন বছরের প্রথম দিনের শেষ শিশুটি জন্মেছে যুক্তরাষ্ট্রে। মোট সংখ্যার অর্ধেক সংখ্যক শিশুর জন্ম হয়েছে আটটি দেশে। সেই দেশগুলো হলো- ভারত (৬৭ হাজার ৩৮৫), চীন (৪৬ হাজার ২৯৯), নাইজেরিয়া (২৬ হাজার ৩৯), পাকিস্তান (১৬ হাজার ৭৮৭)‌, ইন্দোনেশিয়া (১৩ হাজার ২০), যুক্তরাষ্ট্র (১০ হাজার ৪৫২), কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (১০ হাজার ২৪৭) ও ইথিওপিয়া (৮ হাজার ৪৯৩)।

প্রতি বছরই ইউনিসেফ এই তালিকা প্রকাশ করে বছরের প্রথম দিনে। এই দিনে শিশুজন্মকে পবিত্র বলে ধরা হয়। যদিও সব ক্ষেত্রে বিষয়টি নবজাতকদের জন্য একেবারেই সুখপ্রদ হয় না। ২০১৮ সালে ২৫ লাখ নবজাতক জন্মের এক মাসের মধ্যেই মারা যায়। নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো, ডেলিভারির সময় জটিলতা এবং সেপসিসের মতো সংক্রমণজনিত কারণে মূলত তাদের মৃত্যু হয়।

প্রতি বছরই ২৫ লাখেরও বেশি শিশু জন্মের পরেই মারা যায়। তবে ইউনিসেফ জানাচ্ছে, গত তিন দশকে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। পাঁচ বছর বয়সের আগে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। কিন্তু সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে সেই গতি এখনও ধীর। ২০১৮-র হিসাব বলছে, পাঁচ বছরের আগে শিশুমৃত্যুর ৪৭ শতাংশই সদ্যোজাত শিশুমৃত্যুর ঘটনা।

জাতিসংঘের হিসাব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ২৭৩ মিলিয়ন শিশু জন্ম নেবে। নাইজেরিয়ায় সম্ভাব্য সংখ্যা ২০০ মিলিয়ন। সেই হিসেবে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ২৩ শতাংশই হবে ভারত ও নাইজেরিয়া থেকে। এই শতাব্দির শেষে ভারত চীনকে টপকে বিশ্বের সবথেকে বেশি জনসংখ্যার দেশে পরিণত হবে।

একে//