ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ধূমপায়ীরা বেশি শারীরিক ব্যাথা অনুভব করে : গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

যারা ধূমপান করেন, এমনকি যারা আগে ধূমপান করতেন এবং এখন ছেড়ে দিয়েছেন, তারাও অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করেন। ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিয়ে চালানো ইউসিএলের নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।

গবেষকরা ধারণা করছেন কোনো সময়ে নিয়মিত ধূমপান করার ফলে শরীরে পাকাপাকিভাবে পরিবর্তন আসতে পারে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বিবিসির একটি অনলাইন জরিপে অংশ নেওয়া মানুষের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষণরা।

গবেষণায় অংশ নেওয়া মানুষকে কখনো নিয়মিত ধূমপান করেন নি, একসময় নিয়মিত ধূমপান করতেন, বর্তমানে নিয়মিত ধূমপান করেন- এই তিন ভাগে ভাগ করে তাদের শারীরিক যন্ত্রণার পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় এবং তাদের উত্তরের ভিত্তিতে শূন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কেলে সেই উত্তর বসানো হয়।

যারা কখনো ধূমপান করেননি, তাদের চেয়ে বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ীরা গড়ে ১ থেকে ২ পয়েন্ট বেশি ছিল। অর্থাৎ তাদের শারীরিক যন্ত্রণার হার অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি। এই তথ্য থেকে বলা যায়, ধূমপান ছেড়ে দিলেও ভবিষ্যতে এই অভ্যাসের কারণে শারীরিক যন্ত্রণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গবেষকদের একজন ডক্টর ওলগা পারস্কি বলেন, গবেষণায় আবিষ্কার হলো সাবেক ধূমপায়ীরাও অপেক্ষাকৃত বেশি শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করেন। কিন্তু এটি চিকিৎসাগত দিক থেকে অর্থবহ কি-না, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটে যে কয়েক হাজার ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি টিস্যুর ক্ষতি করে। যার ফলে শরীরে ব্যাথা তৈরি হয়। এছাড়া শরীরের হরমোনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে ধূমপান। তবে ধূমপান আসলে ব্যাথার কারণ নয়, উপসর্গ মাত্র।

গবেষক ডক্টর পারস্কি বলছেন, শরীরে তীব্র ব্যাথা এবং পিঠে ব্যাথার সঙ্গে ধূমপানের সম্পর্ক আছে। এর আগেও গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ধূমপান বিরোধী ক্যাম্পেইন গ্রুপ অ্যাশ’র প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ আরনট বলেন, `১৯৫০ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় যে ধূমপানের সঙ্গে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর গত কয়েক দশক ধরে নানা গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্রায় সব ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা ধূমপান সেই অবস্থাকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যায়।’

গবেষণায় আরও যে তথ্য উঠে এসেছে তা হলো- 
* ক্যান্সার, হৃদরোগ ও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ ছাড়াও অন্ধত্ব, বধিরতা, ডায়াবেটিস, স্মৃতিভ্রম এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান। 

* এছাড়া অপারেশন হওয়ার পর ধূমপায়ীরা সেরে উঠতে অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি সময় নেয়। 

* অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের অপারেশন সফল না হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

সূত্র : বিবিসি

এএইচ/