বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের নামকরণ করেছিলেন স্বাধীনতারও দু’বছর আগে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ৩ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৫৬ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের বিজয়ের দুই বছর আগেই এদেশটির নামকরণ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের ২৭৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণার উদ্ধৃতি রয়েছে। তাছাড়া ইতিহাসবিদরাও বিষয়টির সত্যতার কথা নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু ওই আলোচনা সভায় বলেন, ‘এক সময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।... একমাত্র ‘বঙ্গোপসাগর’ ছাড়া আর কোনও কিছুর নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।... জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’ এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’।’
বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন নিয়ে নিজের লেখা ডায়েরি যা ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামে গ্রন্থকারে প্রকাশিত হয়েছে, সেই বইয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন পরিচয় (১৯৫৫-৭৫)’ অংশে বঙ্গবন্ধুর বছর ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশের নামকরণের কথা বলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর এই নামকরণের বিষয়ে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, `বাংলাদেশের নামটি ওইদিন প্রকাশ্যে ঘোষণা হয়। বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণ দিতে গিয়েই সর্বপ্রথম ওই ঘোষণাটি দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের নাম হবে বাংলাদেশ’। পরদিন আমরা পত্রিকায় দেখি মওলানা ভাসানী ও আতাউর রহমান খান বঙ্গবন্ধুর ওই নামকরণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।'
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুনও ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে স্বাধীনতা এনেছিলেন’ এই বইতে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ওইদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, যদি নতুন দেশ হয় তার নাম হবে বাংলাদেশ।