রামেক হাসপাতালে দ্বিগুণ হচ্ছে আইসিইউ’র শয্যা
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার
রামেক মিলনায়তনে চিকিৎসকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, উন্নয়নের দিক থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সব সময় অগ্রাধিকার পায়। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। হাসপাতালের জনবল ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন, সেগুলো দ্রুত দেয়া হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে চিকিৎসকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) বা আইসিইউ’র শয্যা দ্বিগুণ করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে একটি গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্সও দেয়া হবে।
এ বছরই রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ (শনিবার) তিনটি জায়গা দেখেছি। আমার সঙ্গে সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও ছিলেন। আমরা নকশা প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছি। এখন সার্ভে করার প্রয়োজন। এ জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কেও দরকার। ডিপিপি চূড়ান্ত হবে সার্ভের পর।
তিনি বলেন, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভের কাজ একসঙ্গে হচ্ছে। সার্ভে হয়ে গেলেই আমরা প্রকল্পটি একনেকে নিয়ে যাব। আশা করি নতুন করে অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাবে। তখন দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা অবকাঠামোগত কাজ শুরু করতে পারব।
রামেকের অধ্যক্ষ ডাঃ নওশের আলীর সভাপতিত্বে এ মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ ডা. মনসুর রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, অনুমতি নিয়েই সাংবাদিকদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ঢুকতে হবে। হাসপাতালে ঢুকতে হলে আপনারা পরিচালক মহোদয়ের কাছ থেকে অনুমতি নেবেন, তারপর ভেতরে যাবেন।
তিনি বলেন, এখানে অনেক ধরনের রোগী থাকে। এর মধ্যে মুমূর্ষু রোগীরাও থাকে। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সংক্রমণের বিষয়টি আমাদের আগে ভাবতে হয়। তাই সবাইকে সব জায়গায় ঢুকতে দেয়া সম্ভব হয় না।
এই ব্যবস্থা শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই রয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থাকে। তাই বেশি অ্যাটেনডেন্স থাকার কারণে রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এই বিষয়টি আমরা যেমন দেখবো, তেমনি আপনারাও দেখবেন। এটি সবার দায়িত্ব।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হামলা চালান। হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়কে মারধরের ঘটনার ছবি ওঠানোর সময় সাংবাদিকদের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পেটান ইন্টার্নরা। এতে অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হন। এরপর থেকে রামেক হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
এনএস/