ক্ষমা চাইলেন রাব্বানী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ৫ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার
ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল ৪ জানুয়ারি। দিনটি উপলক্ষে সারা দেশের ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের নিয়ে আয়োজন করা হয় পুনর্মিলনী। কিন্তু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেখানে। এরই মধ্যে পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এবার সব কষ্টকে বুকে চাপা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন গোলাম রাব্বানী। ফেসবুকে ছাত্রলীগ নিয়ে স্বপ্নের অপূর্ণতার কথা তুলে ধরে নানা অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাব্বানী লিখেছেন, ‘ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের অভিলাষ নিয়ে ছাত্রলীগকে ‘ইতিবাচকতার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল। চলার পথের নানা বন্ধুরতা, অসাবধানতা, ত্রুটি-বিচ্যুতি, আর বোধ করি শতভাগ প্রচেষ্টার অভাবে স্বপ্নটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।’
তিনি লিখেন, ‘স্নেহ-ভালোবাসার প্রিয়মুখ জয়-লেখকের হাত ধরে সে আজন্ম লালিত স্বপ্ন পূর্ণতা পাক, এই প্রত্যাশা। অন্তর্নিহিত দোয়া, শুভকামনা আর পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে তোদের জন্য।’শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকা হাতে পথ চলতে গিয়ে ছাত্রলীগ পরিবারের কাউকে বঞ্চিত করে থাকলে, কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি, নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। ভালো থাকুক প্রাণের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ভালো থাকুক আমার আত্মার পরম আত্মীয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারের সকল সদস্য।’
উল্লেখ্য, নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পদ হারান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পান।
এর পর পেরিয়ে গেছে তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সাদাসিধে জীবনাচরণ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নজর কেড়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয়। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য।
এসএ/