ছাত্রী ধর্ষণ: উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০২:২৪ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- সংগৃহীত
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’র (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। রোববার রাত সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর রাত থেকেই দফায় দফায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে উচ্চশিক্ষালয়টির প্রাঙ্গন। বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।
ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে রাজপথে নেমে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢামেক প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মিছিল শুরু করেন। ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা ফেইসবুকে ইভেন্ট খুলে আজ বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। পৃথক বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদলও। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন শামসুন্নাহার হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি।
এরআগে রাত ৩টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট থেকে শুরু হয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।
অপরদিকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয় মিছিলটি। এ সময় সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন, পরিষদের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাস ক্ষণিকায় রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
ফলে হাসপাতালে নিলেও তার জ্ঞান ফিরতে কিছুটা সময় লাগে। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
এমএস/