ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণ: ভিপি নুরের আলটিমেটাম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৩:০৮ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেন ভিপি নুরুল হক নুর- সংগৃহীত
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন থেকে তিনি এ আলটিমেটাম দেন।
ভিপি নুর বলেন, ‘আমাদের বোন ধর্ষণের ঘটনায় ইতোমধ্যে ছাত্র প্রতিনিধিরা আন্দোলনে নেমেছেন, সোচ্চার হয়েছেন। আমরা চাই ধর্ষকদের অবশ্যই চিহ্নিত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলন সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।’
নুরুল হক আরও বলেন, ‘ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সকল শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। একটা কথা বলা হয় যে, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা নারী। এটাকে বলা হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এখনও নারীরা, আমার বোনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঘর থেকে বের হলেই তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে।’
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস এলাকা। পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই প্রতিবাদে যোগ্ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব ছাত্র সংগঠন গতকাল রোববার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি পালন করে চলেছে।
ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও ধর্ষককে গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড বহন করছেন। দুপুর একটার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বড় মিছিল বের করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। বিক্ষোভে সাবেক শিক্ষার্থীদেরও দেখা গেছে। শাহবাগে চলছে প্রতিবাদ সমাবেশ। ক্যাম্পাসজুড়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী নানাভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাস ক্ষণিকায় রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
ফলে হাসপাতালে নিলেও তার জ্ঞান ফিরতে কিছুটা সময় লাগে। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
এমএস/