সোলাইমানির জানাজায় জনতার ঢল, কাঁদলেন খামেনি (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৪:১১ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির জানাজায় জনতার ঢল নেমেছিল। রাজধানী তেহরানের রাস্তায় অনেক মানুষকে কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সোলাইমানির ছবি আঁকড়ে ছিলেন। জানাজার নামাজের ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। এক পর্যায়ে তাকেও কাঁদতে দেখা যায়।
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় সোলাইমানিসহ নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজায় অংশ নিতে ভোররাত থেকে সারা তেহরান থেকে লাখ লাখ মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের জুমার নামাজের চত্বরে আসতে থাকেন। এ সময় জনতার হাতে শহীদ জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহানদিসের ছবি শোভা পাচ্ছিল। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে হত্যা করব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে অনেকে নিজেদের শিশুসন্তান নিয়ে নামাজে জানাজায় অংশ নেন। ফলে এই জানাজার নামাজ জনতার সমুদ্রে পরিণত হয়। এত বিশাল লোকসমাগম দেখে মনে হরা হচ্ছে, আজকের জানাজায় ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনির নামাজে জানাজার চেয়ে বেশি লোক অংশ নিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলাইমানিকে। ইরানের জাতীয় নায়ক এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে সোলেইমানিকে দেখা হতো।
ইতিমধ্যে সোলাইমানি হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। গতকাল রবিবার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে নিজের প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা।
৬২ বছর বয়সি সোলাইমানির কফিন মানুষ মাথার উপর দিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং ‘আমেরিকার মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘কালো দিন’ দেখবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে’।
আজ জানাজার পর জেনারেল সোলাইমানির মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে আগামীকাল মঙ্গলবার কেরমানে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
এর আগে তেহরানে সোলাইমানির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রূহানি বলেন, ‘আমেরিকানরা আসলেই বুঝতে পারেনি যে তারা কত বড় ভুল করেছে। এই এলাকার উপর থেকে যেদিন আমেরিকার নোংরা হাত কেটে ফেলা হবে, সেদিনই তাঁর রক্তের বদলা পূরণ হবে।’
এএইচ/