ইভিএমে ভোট থেকে সরে আসার সুযোগ নেই: সিইসি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৫ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা
ইভিএমে ভোট থেকে সরে আসার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘ইভিএম থেকে সরে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। ইভিএমেই ভোট হবে।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে তিন কমিশনার ও সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই মেয়র প্রার্থীসহ ছিলেন ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশ, ভোটে ইভিএম ব্যবহার না করাসহ ২১টি দাবি তুলে ধরে বিএনপি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বৈঠক শেষে ইভিএমকে নির্দেশিত স্বয়ক্রিয় নিঃশব্দে ভোট চুরির প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতা আমির খসরু বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এসময় ইভিএমের বিরোধিতা করে স্বচ্ছ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতসহ ইভিএম বাতিলের দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে, ইভিএম নিয়ে বিএনপির শঙ্কার কোনও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচনে ইভিএম থেকে সরে আসার সুযোগ নেই।
নির্বাচনে পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না বলে দাবি করেন নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা নিষ্প্রয়োজনীয়, সেটা নিয়ে পুলিশের সাথে আলাদাভাবে বসব। সচিবকে দায়িত্ব দেব। আমার সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়েছে, তারা কখনোই নির্বাচন নিয়ে কোনও রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না।’
এ সময় নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখতে অযথা গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ থাকবে বলেও জানান সিইসি। সিইসি বলেন, ‘৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষ্প্রয়োজনীয় কোনও হয়রানি করা যাবে না। তার মানে এই না যে, কেউ ক্রিমিনাল অফেন্স করলে নির্বাচনের দোহাই দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, এটা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, কারও ওপর আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তখন তো কোর্টের অর্ডারের বিরুদ্ধে পুলিশ অবস্থান নিতে পারে না। এ রকম যদি হয়, সেটা দেখতে হবে।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে কঠোরভাবে বলে দেব যে, নির্বাচনের সময় যেন তারা প্রার্থীকে নিষ্প্রয়োজনীয় হয়রানি না করে এবং সেটা করবে না।’
এনএস/