1. প্রচ্ছদ
2. শিক্ষা

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে রাতেও ক্যাম্পাসে সরব দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।

ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যার সন্ধ্যার পর ডাকসু নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে 'নিপীড়নবিরোধী পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্জ্বলন' কর্মসূচী পালন করা হয়। একইসঙ্গে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচিও ঘোষণাও করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল- সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ডাকসু থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত নিপীড়নবিরোধী পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্জ্বলন, রাত ৯টায় স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও স্মারকলিপি প্রদান।

এছাড়াও আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক-নাগরিক সমাবেশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় 'নিপীড়ন বিরোধী ডাকসু মঞ্চ' থেকে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ।

এদিকে, এ ঘটনায় বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। ধর্ষণের ঘটনার ইতিমধ্যে আলামত সংগ্রহ করেছে র‍্যাব ও ডিবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ধর্ষণের স্পট চিহ্নিত হয়েছে। এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার চুপ থাকবে, তা তো আশা করা যায় না। আন্দোলন হচ্ছে, হবেই তো।

প্রসঙ্গত, রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। 

জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেওড়ার বিপরীত পাশে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামেন তিনি। সেখানে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পাশের একটি স্থানে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে।

রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজি করে গন্তব্যে পৌঁছান ওই ছাত্রী। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করায় তার সহপাঠীরা।

এনএস/