যুদ্ধের ভার বহনের ক্ষমতা আমেরিকার নেই: ন্যান্সি পেলোসি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১১:০৬ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার
ফাইল ছবি
ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরানের পাল্টা হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্যরা। চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেও এতে সুর মিলিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, আমরা বিষয়টি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে নতুন করে কোনো যুদ্ধের ভার বহন করার মত ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের নেই।’
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার বলেন, ‘ইরাকে আমাদের সেনা মোতায়েন রয়েছে; আমরা অবশ্যই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং অপ্রয়োজনীয় উস্কানির ফাঁদে পা দেব না।’
শুক্রবার বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত হন। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী।
ইরানের হামলার সময় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট সদস্যদের একটি বৈঠক চলছিল। এর মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কাছে হামলার সংবাদবাহী একটি নোট আসে; তৎক্ষণাৎ তিনি বৈঠক ছেড়ে চলে যান বলে সেখানে উপস্থিতদের মধ্যে কয়েকজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
‘ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলার ওপর কড়া নজর রাখছি। আমাদের অবশ্যই মার্কিন সেনাসদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; একইসঙ্গে (ট্রাম্প) প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় উসকানি বন্ধ করাতে হবে। ইরানকে তাদের সহিংসতা থামাতে দাবি তুলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব যুদ্ধের ভার বহন করতে পারবে না।’ পরে এক টুইটে বলেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট স্পিকার পেলোসি।
এদিকে হামলার পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলার বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পরামর্শও করছেন প্রেসিডেন্ট।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে- ‘বড় শয়তান’, ‘রক্তপিপাসু’ ও ‘দাম্ভিক’ আমেরিকাকে কড়া ভাষায় জবাব দেয়া হয়েছে।
আবার যদি কোনো ‘শয়তানি’ করা হয় কিংবা কোনো আগ্রাসন বা উসকানি চালানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে এর চেয়ে ‘বেদনাদায়ক’ জবাব দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ইরানের এই শীর্ষ জেনারেলের গুপ্তহত্যায় ফুঁসে উঠেছে দেশটির জনগণ। গোটা মধ্যপ্রাচ্য এখন টালমাটাল। এই হত্যার বদলা নেয়ার শপথ নিয়েছে ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ। পরিপ্রেক্ষিতে ইরাকে দুটি মার্কিট ঘাটিতে হামলা চালায় ইরান।
এমএস/এসি