ইরানে বিধ্বস্ত বিমানটিতে যারা ছিলেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:২৬ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
ইরানের রাজধানী তেহরানে ১৭৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের ওই বিমানে নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন ক্যানাডিয়ান, ১১ জন ইউক্রেনিয়ান, যাদের মধ্যে ৯ জনই ক্রু, ১০ জন সুইডিশ, চারজন আফগান, তিনজন ব্রিটিশ এবং তিনজন জার্মান নাগরিক ছিলেন। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ছিল ১৫ জন শিশু। খবর বিবিসির।
তবে পরে জার্মান সরকার বলেছে যে ‘ইরানের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে জার্মান নাগরিক আছে কি সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই’।
ইরানের জরুরি অভিযানের প্রধান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪৭ জন ইরানি ছিলেন। ওই বিমানে ৬৫ জন আরোহীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল।
ট্রুডো জানিয়েছেন, ফ্লাইটে ১৩৮ জন যাত্রী কিয়েভ হয়ে ক্যানাডা যাচ্ছিলেন।
ট্রুডো বলেন, ‘যে সমস্ত লোকেরা তাদের বাবা-মা, তাদের বন্ধুবান্ধব, তাদের সহকর্মী বা তাদের পরিবারের কাছে ফিরবে না, তাদের সবারই অনেক সম্ভাবনা ছিল, এই জীবন থেকে তাদের আরও অনেক কিছু পাওয়ার ছিল’।
ইউক্রেনীয় এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর ফ্লাইটের ডেটা এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
সেখানে দেখা গিয়েছে যে, বিমানটি তেহরান থেকে ছাড়ার সময় স্বাভাবিকভাবে উড্ডয়ন করেছিল।
প্রায় ৮,০০০ ফিট (২,৪০০ মিটার) উঁচুতে পৌঁছানোর পরে বিমানের ডেটা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়।
এটি অস্বাভাবিক। তবে ঘটনাটির কারণ জানানোর ব্যাপারে আমাদের কাছে এই পর্যায়ে কোনও প্রমাণ নেই।
পূর্বের কিছু বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারীর মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আগে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বলা ঠিক হবে না।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই সম্ভাবনাটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না তবে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর মতো বিমানটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটা ইঞ্জিনের ব্যর্থতা থাকা সত্ত্বেও যেন উড়তে পারে।
এছাড়াও, যদি ইঞ্জিনে কোন সমস্যা থাকে তাহলে ফ্লাইটের ডেটায় দেখা যাবে যে বিমান আরোহণের গতি কমে গেছে।