অকাল মৃত্যু সবাইকে কষ্ট দেয়: প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার
শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাইকে এক সময় চলে যেতে হবে। কিন্তু অকাল মৃত্যু সবসময় সবাইকে কষ্ট দেয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় আরো অংশ নেন বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এবং সরকারি দলের অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরী ও খালেদা খানম।
শোক প্রস্তাবে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে প্রয়াতদের আত্মার শান্তি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। প্রস্তাব উত্থাপনের পর মরহুমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত ও এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। এরপর চলতি সংসদের সদস্য ড. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের অধিবেশন এক ঘন্টার জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে সংসদে ভাষন দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শোক প্রস্তাবে সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরকার ছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) মো. আব্দুল কাদের, সাবেক সংসদ-সদস্য ইকবাল হোসেন, এবাদত হোসেন মন্ডল ও গুলজার আহমদ। এছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সাবেক বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত পদার্থবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় রায়, কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ সেলিম, ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু, সুরকার-সংগীত পরিচালক বাসুদেব ঘোষ, বীরাঙ্গনা আফিয়া খাতুন খঞ্জনি, বীরাঙ্গনা রাহেলা বেগম এবং সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামানের মাতা ফাতেমা খানমের নাম রয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অত্যন্ত অমায়িক মানুষ ছিলেন ডা. ইউনুস আলী। তিনি পায়ে হেঁটে হেঁটে এলাকাসহ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতেন, বিনা পয়সায় ওষুধ কিনে দিতেন। এমন একজন মানবতাপ্রেমী মানুষে এভাবে অকালে চলে যাবেন, তা কল্পনাও করতে পারিনি। আর দু’বারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি অত্যন্ত ভাল একজন বক্তা ছিলেন, ভবিষ্যতে তাঁর একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় আমার মামলার কাজের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। অত্যন্ত মেধাবী ছিল বাপ্পি। তাঁর এই অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কঠিন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফজলে হাসান আবেদের স্ত্রী আমাদের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আমি তাকে ইউনিভার্সিটি ও একটি ব্যাংক করতে অনুরোধ করেছিলাম। পরে তাঁকে ব্যাংক দিয়েছিলাম। তাঁর কাজের ফলে পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সদ্য প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরকে//