ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দুর্গম পাহাড়ে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবায় কোয়ান্টাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৪ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

বান্দরবন জেলার লামার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গর্ভবতী তিন শতাধিক মা ও তিন শতাধিক শিশুকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। দুঃস্থ গরীব অসহায় গর্ভবতী মায়েদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে পুষ্টি, চিকিৎসা ও নিরাপদ ডেলিভারি সেবা মাতৃমঙ্গল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেবামূলক এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি ২০২০) মুজিব বর্ষ ও জাতির জনকের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কোয়ান্টামের উদ্যোগে লামার সরই ইউনিয়নের কোয়ান্টামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ফিরোজ। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম সেন্টারের উপদেষ্টা সমন্বয় সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূরুল হাসান খান ও রিপোর্টার উইদআউট বর্ডারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক সালিম সামাদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি জাতির উন্নয়নে সুস্থ ও সবল সন্তান প্রয়োজন। আর সুস্থ সন্তানের জন্যে প্রয়োজন হয় সুস্থ মায়ের। পাহাড়ি বাঙালি নির্বিশেষে সব ধর্মের মায়েদের জন্যে কোয়ান্টাম মাতৃসেবার যে উদ্যোগ নিয়েছে; সবার সহযোগিতায় এ সেবা শুধু চট্টগ্রাম-বান্দরবান নয়; সারা দেশেই ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশ থেকে একসময় যেমন গুটিবসন্ত, ডিপথেরিয়া নির্মূল হয়ে গেছে, তেমনি সবার সহযোগিতায় সারা দেশে মাতৃমঙ্গলের মতো এমন উদ্যোগ গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ ডেলিভারির মাধ্যমে সুস্থ ও সবল নবজাতক উপহার দিতে পারবে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাতৃমঙ্গল কার্যক্রমের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. দেবেলা মল্লিক রায় স্বাগত বক্তব্যে জানান, চট্টগ্রামে ২০০৫ সালে কোয়ান্টামের এ মাতৃমঙ্গল কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে রাজবিলায় ২০১১ সালে এবং ২০১৫ সালে লামাতে এ সেবা চালু হয়। 

এ কার্যক্রমের আওতায় অস্বচ্ছল সুবিধাবঞ্চিত গর্ভবতী মায়েদের গর্ভধারণের ৩ মাস থেকে শুরু করে ডেলিভারির সময় ও সন্তান জন্মের পর ৪০ দিন পর্যন্ত একজন মায়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা, ওষুধ ও পুষ্টিসেবা দেয়া হয়। জন্মের ৪০ দিন পর্যন্ত যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়ও প্রদান করে কোয়ান্টাম।

দুঃস্থ বস্তিবাসী, গৃহকর্মী, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ এবং অবহেলিত পাহাড়ি জনগোষ্ঠী মুরং, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যাসহ পাহাড়ি বাঙালি প্রতিটি ধর্মের মায়েরা এ সেবার অন্তর্ভুক্ত। মাতৃমঙ্গল কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬৯৬৪ জন, রাজবিলায় ২১২৩ জন ও লামার কোয়ান্টামমে ২৬৬ জন মোট ৯৩৫৩ জন মা সেবা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মাতৃমঙ্গল সেবাগ্রহীতা মায়েরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

আরকে//