আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে লোগো উন্মোচন, ঘড়ি চালুর মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে রানওয়েতে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০ জে মডেলের বিমান। বিমানটির দরজা খুলে আলোর অবয়বে যেন চিরচেনা হাসি নিয়ে হাত উঁচু করে দাঁড়ালেন বঙ্গবন্ধু। সেই সবুজ আলোর অবয়বে লালগালিচা বেয়ে বঙ্গবন্ধু নেমে এলেন স্বদেশের মাটিতে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই মুহূর্তের এমন প্রতীকী মঞ্চায়ন দেখে কেঁদে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার বোন শেখ রেহানাও। প্রতীকী আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর আলোকমূর্তি লালগালিচায় পা রাখতেই ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে জাতির পিতাকে বরণ করে নেয়া হয় স্বদেশের মাটিতে। এসময় চারদিকে ধ্বনিত হয় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান।
এমনই এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই মুহূর্তকে স্মরণ করে এমন আয়োজন এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। জাতির পিতার স্মৃতিচারণ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন। শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে পাশে রেখে বক্তব্য রাখেন।
প্যারেড গ্রাউন্ডে আরও উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অধ্যাপক রেহমান সোবহানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। উপস্থিত আছেন প্রায় ১২ হাজার দর্শক।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক এই দিনটিতেই মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এই আয়োজনের মূল অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, আওয়ামী লীগের গত সরকারের ১০ জন মন্ত্রী, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুজন সাবেক গভর্নর, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতিনিধি এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী।
এমএস/এসি