ফের আফসোসে পুড়লেন মুশফিক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৯ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
মুশফিকুর রহিম
প্রথম ওভারেই ধাক্কা। ম্যাচের চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ১১ বলে তিন ছক্কায় ২৪ রানে সাজঘরে ফিরলেন রান মেশিন রাইলি রুশো। শুরুর এমন বিপর্যয়ের পরও কুমিল্লার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে খুলনা টাইগার্স।
আর তা সম্ভব হয়েছে দুই টাইগার মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজের তাণ্ডবে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় উইকেট ঝড় উঠল এ দুজনের ব্যাটেই। জাতীয় দলের দুই তারকা রীতিমতো কচুকাটা করলেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স বোলারদের। দুজনকে আর থামাতে পারেনি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। মিরাজ-মুশফিক তাণ্ডবে খুলনা করল দুই উইকেটে ২১৮!
বিশাল এ সংগ্রহের পরও আফসোস নিয়ে বাইশ গজ ছাড়তে হলো দুজনকেই। ইয়র্কার সামলাতে গিয়ে পায়ে চোট পান মিরাজ। তাকে মাঠ ছাড়তে হলো কোচিং স্টাফদের কোলে চড়েই। আর তাতেই বিচ্ছিন্ন হলো চলতি বিপিএলের সর্বোচ্চ ১৬৮ রানের রেকর্ড জুটি। যেখানে মিরাজের অবদান ৪৫ বলে ৭৪। যে ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কার মার।
মিরাজের থেকেও এদিন ফের বড় আফসোস সঙ্গী হলো খুলনা অধিনায়ক মুশফিকের। মাত্র দুই রানের জন্য স্বপ্নের সেঞ্চুরিটা হলো না তার। ফুলটস হওয়া ইনিংসের শেষ বলটা কাজে লাগাতে পারেনি তিনি। নিতে পারলেন মোটে ১ রান! যাতে ৯৮ রানে অজেয় থাকলেন মুশি। রাজ্যের হতাশা নিয়ে মুশি যখন বাইশ গজ ছাড়ছিলেন তখন দৌড়ে এসে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে গেলেন কুমিল্লার ক্রিকেটাররা।
শেষ ওভারে স্ট্রাইক বদল করেই ভুলটা করেছিলেন মুশফিক। যার মাসুল দিতে হলো স্বপ্নের শতক হাতছাড়া করে। ৫৭ বলের বিস্ফোরক ইনিংসে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছেন খুলনা অধিনায়ক। এই ম্যাচে খুলনা হয়তো জিতবে, কিন্তু আক্ষেপটা বহুদিন তাড়া করে বেড়াবে মুশফিককে।
সৌম্য সরকারের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলটি বাউন্ডারি মেরে ৯৬ রানে পৌঁছান মুশফিক। বিপিএলের শুরুতে এই ৯৬ রানেই থেমেছিলেন তিনি। নার্ভাস হয়ে সৌম্য পরের দুই বল দিলেন ওয়াইড। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ছিয়ানব্বইয়ের ফাঁড়া কাটান মুশি।
আর শেষ বলে নজিবুল্লাহ জারদানের থেকে মুশফিক যখন স্ট্রাইক ফিরে পেলেন, ম্যাচে তখন টান টান উত্তেজনা। সৌম্যের করা শেষ বলটিতে সজোরে ব্যাট চালালেও ১ রানের বেশি পাননি।
এভাবেই চলতি বিপিএলে দুইবার সেঞ্চুরির সুযোগ মিস করলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ৫১ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান মুশফিক। একই আসরে দুটি সেঞ্চুরি মিস করা নিশ্চয়ই হতাশাজনক হবে 'মি. ডিপেন্ডেবল'-এর জন্য।
এনএস/